শুক্রবার ১৮ জুলাই, ২০২৫

জুমার দিন কেন এত গুরুত্বপূর্ণ? জানুন পাঁচটি কারণ

ছবি: সংগৃহীত

ইসলামে জুমার দিনকে সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন এবং ঈদের দিন হিসেবে গণ্য করা হয়। এই দিনের বিশেষ মর্যাদা ও গুরুত্ব কোরআন ও হাদিসে বারবার উল্লেখ করা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা স্বয়ং জুমাবারকে অন্যান্য দিনের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন।

পবিত্র কোরআনে সুরা জুমা নামে একটি স্বতন্ত্র সুরা রয়েছে। তাফসিরবিদরা বলেন, সুরা জুমার আগের সুরার নাম হলো সুরা ‘সফ’। সফ অর্থ কাতার বা সারি। জুমার নামাজ সারিবদ্ধভাবে আদায় করা হয়। এতে ঐক্য ও শৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, এতে এই ইঙ্গিত রয়েছে।

প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক ও জ্ঞানসম্পন্ন মুসলমান পুরুষের জন্য মসজিদে গিয়ে জুমার নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি জামাআতে আদায় করতে হয়। মহান আল্লাহ তায়ালা জুমার দিনে দ্রুত মসজিদে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়ে বলেছেন:

يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا إِذَا نُوْدِيَ لِلصَّلاَةِ مِنْ يَّوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ، ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُوْنَ

অর্থ:“হে ঈমানদারগণ! যখন জুমার দিন নামাজের জন্য আহ্বান করা হবে, তখন তোমরা দ্রুত আল্লাহর স্মরণের জন্য উপস্থিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ কর। এটিই তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা বুঝতে পার।” (সুরা জুমা, আয়াত: ০৯)

হজরত হুজাইফা ইবনুল ইয়ামান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা পূর্ববর্তী জাতিগুলোর কাছে জুমার মর্যাদা গোপন রেখেছিলেন। ফলে ইহুদিরা শনিবার এবং খ্রিস্টানরা রোববারকে তাদের বিশেষ দিন হিসেবে নির্ধারণ করে। এরপর আল্লাহ তায়ালা আমাদের কাছে জুমার দিনের মর্যাদা প্রকাশ করেন। (মুসলিম ৮৫৬)

ইসলামি ইতিহাসে জুমার দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হজরত আবু লুবাবা বিন আবদুল মুনজির (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) জুমার দিন শ্রেষ্ঠ হওয়ার পাঁচটি কারণ উল্লেখ করেছেন:

১. আদম (আ.)-এর সৃষ্টি: এই দিনে প্রথম মানব হজরত আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে।

২. জমিনে অবতরণ: জুমার দিনেই হজরত আদম (আ.)-কে জমিনে অবতরণ করানো হয়েছে।

৩. আদম (আ.)-এর ইন্তেকাল: এই জুমাবারেই হজরত আদম (আ.) ইন্তেকাল করেন।

৪. দোয়া কবুলের বিশেষ সময়: এই দিনে এমন একটি বিশেষ সময় রয়েছে, যখন বান্দা আল্লাহর কাছে কোনো বৈধ প্রার্থনা করলে তা কবুল করা হয়।

৫. কিয়ামত সংঘটিত হওয়া: সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, কিয়ামত এই জুমার দিনেই সংঘটিত হবে। (ইবনে মাজাহ ৮৯৫)

আরও পড়ুন