ভারত থেকে আসা দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিকৃত জিরার শুল্কায়ন মূল্য দ্বিগুণ করা হয়েছে। এতে আরও বিপাকে পড়বেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
এছাড়া গত ৫ দিন ধরে বন্দর থেকে মসলাজাতীয় পণ্যটি খালাস নেয়া বন্ধ রেখেছেন আমদানিকারকরা।
কাস্টমস জানায়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নির্দেশনায় শুল্কায়ন মূল্য বাড়ানো হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এতে জিরার দাম আরও বাড়বে। ইতোমধ্যে যা বেড়েই চলেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে বৃদ্ধি পেয়েছে দাঁড়িয়েছে ২০০ টাকা। এতে আরও বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
শনিবার (২৯ জুলাই) সরেজমিনে দেখা গেছে, বাজারের সব মসলার দোকানেই জিরার সরবরাহ ভালো রয়েছে। তবু দাম বাড়তি। বর্তমানে প্রতি কেজি জিরা ১০৫০ থেকে ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ১ সপ্তাহ আগে যা ছিল ৮৭০ থেকে ৯০০ টাকা।
এদিকে হিলি বাজারে মসলা কিনতে আসা সিদ্দিক হোসেন বলেন, বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তি। যে হারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, সেই অনুযায়ী আমাদের আয়-রোজগার বাড়ছে না। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বমুখিতার কারণে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বিশেষ করে জিরার দাম একেবারেই নিয়ন্ত্রণে নেই।
তিনি বলেন, রাত পোহালেই দাম বাড়ছে। এতে লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না। যে জিরা ৩০০ টাকা কেজি কিনেছি, এখন সেটা ১১০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। বাড়তি দরের কারণে কম কিনতে বাধ্য হচ্ছি। আগে একবারে ১ কেজি বা হাফ কেজি কিনতাম, এখন ১০০ বা ২০০ গ্রাম কিনছি।
সিআ্যন্ডএফ এজেন্ট বলেন, আগে প্রতি টন জিরা ১৮৫০ ডলার মূল্যে আমদানি করা হতো। কাস্টমসে ওই মূল্যেই শুল্কায়ন করে ছাড়করণ দিতো। কিন্তু বর্তমানে তারা সাড়ে ৩ হাজার ডলার শুল্কায়ন মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে। আগে ১ ট্রাক জিরা আমদানি করতে ৫৫ হাজার ডলার লাগতো। কিন্তু বর্তমানে ১ লাখ ১০ হাজার ডলার লাগবে।
সম্পাদক : শাদমান আল আরবী | নির্বাহী সম্পাদক : তানভীর আল আরবী
ঠিকানা : ঝাউতলা, ১ম কান্দিরপাড়, কুমিল্লা-৩৫০০। ফোন : ০১৩১৬১৮৬৯৪০, ই-মেইল : [email protected], বিজ্ঞাপন: [email protected], নিউজরুম: [email protected] © ২০২৩ রাইজিং কুমিল্লা সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত। | Design & Developed by BDIGITIC