এবার ট্যাক্সি চলবে আকাশে। সেই স্বপ্নকে দ্রুত বাস্তবে পরিণত করার উদ্যোগ নিচ্ছে জার্মানের এক কোম্পানি। যা আগামী বছরে প্যারিস অলিম্পিকের আগে আকাশে উড়বে। খবর: ডয়চে ভেলে।
এই উড়ন্ত ট্যক্সির নাম দেয়া হয়েছে ভোলোসিটি। এটি যখন টেক অফ করবে বা পাশ দিয়ে উড়ে যাবে, টেরই পাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে নির্মাণ প্রতিষ্ঠান। এর আটটি ইলেকট্রিক প্রপেলর কোনো শব্দই করে না। হেলিকপ্টার বা উড়োজাহাজের মতো কোনো ধোঁয়াও বের হয় না। এরই মধ্যে জার্মানির দক্ষিণে ব্রুখসাল শহরে ভোলোকপ্টারের পরীক্ষামূলক ৫০টিরও বেশি উড্ডয়নও হয়েছে। তার মতে, প্রত্যেকটি উড়ালের সঙ্গে যন্ত্রের উন্নতি করা হয়েছে৷ এখন সেটি বোয়িং বা এয়ারবাসের দূরপাল্লার বিমানের মতোই নির্ভরযোগ্য৷
ভোলোকপ্টারের কর্ণধার ডিয়র্ক হোকে বড় আকারে ‘ভোলোসিটি’ উৎপাদনের পরিকল্পনা করছেন। আপাতত বছরে ৫০টি ইউনিট তৈরি করা তার লক্ষ্য।
আগামী বছরের মাঝামাঝি প্যারিসে অলিম্পিক প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার আগেই তিনি সেখানে নিয়মিত এয়ার ট্যাক্সি পরিষেবা চালু করার উচ্চাকাক্সক্ষী লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন। তিনি বলেন, আমরা প্যারিসে শুরু করে ২০২৪ সালেই রোমে যাব। বছরের শেষ প্রান্তিকে সম্ভবত সিংগাপুরেও পরিষেবা শুরু করব। ২০২৫ সালের শুরুতে আমরা আন্তর্জাতিক স্তরে আরও সক্রিয় হব। সৌদি আরবের নিওম এবং আরও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে জাপানের ওসাকা শহরে ওয়ার্ল্ড এক্সপোর সময়ও পরিষেবা দেব।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ভোলেকপ্টার গোটা বিশ্বেই নিজস্ব কনসেপ্ট তুলে ধরতে চায়৷ সৌদি আরবের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বিতর্ক সত্ত্বেও ‘ফিউচার সিটি’ প্রকল্প হিসেবে নিয়মে সক্রিয় হতেও পিছপা হচ্ছে না এই কোম্পানি৷ ব্রুখসালে নতুন একটি কারখানা ইতোমধ্যেই চালু হয়েছে৷ সেখানেই ‘ভোলোসিটি’ র অংশগুলি বড় আকারে উৎপাদন করা হবে৷ কোম্পানির মতে, বিশাল চাহিদা দেখা যাবে।
এদিকে, ডিয়র্ক হোকের স্বপ্ন নির্গমন ছাড়াই উড়াল সবার সামর্থ্যের মধ্যে আনা। তার মতে, ‘শুরুর দিকে হাতে করে অনেক কাজ করতে হয়। ফলে বিমানের মূল্য বেশি থাকে। কিন্তু বড় আকারে সিরিজ প্রোডাকশন শুরু করলেই ভারসাম্য চলে আসবে৷ তখন অত্যন্ত ন্যায্য দামে আমরা বিমান উৎপাদন করতে পারবো৷ আমাদের ইতোমধ্যেই এক কারখানা রয়েছে, যা দিয়ে আমরা বছরে ৫০টি বিমান তৈরি করতে পারি৷ তখন টিকিটের দামও সবার নাগালে চলে আসবে।’