
আমাদের দেশে প্রতি বছর তামাক মুক্ত দিবস জাঁকজমকের সহিত পালন করা হলেও তামাকমুক্ত এখনো হয়নি। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তামাকের ব্যবহার। আমাকের উল্লেখযোগ্য ব্যবহারের মধ্যে রয়েছে ধুমপান। ধূমপান একটি কুঅভ্যাস।
ধূমপানসামগ্রী যেমন—বিড়ি, সিগারেট তৈরি হয় তামাক থেকে। আর তামাকের প্রধান রাসায়নিক উপাদান নিকোটিন। নিকোটিন এক ধরনের উগ্র বিষ। ধূমপানে তাই নিকোটিন বিষ গ্রহণ করা হয়। প্রতিটি সিগারেট বা বিড়িতে পাঁচ থেকে ছয় মিনিটের আয়ু কমে যায়। ধূমপানের ফলে সাময়িক নেশার সৃষ্টি হয়। কিন্তু এতে মস্তিষ্ক হয় অচল, কমে যায় চিন্তাশক্তি।
এতে দেহে-মনে, ব্যক্তিত্বে ও সারা জীবনে ধূমপায়ী ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ধূমপান যেভাবেই করা হোক, এর বিরূপ ফলাফল অনিবার্য। ধূমপানের কারণে আপাদমস্তক মানবদেহের প্রতিটি অঙ্গে কুফল দেখা যায়। ধূমপানে অনেক বিচিত্র রোগ দেখা দেয়। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের অন্যতম কারণ ধূমপান। এ কুঅভ্যাস হৃৎপিণ্ডে রক্ত সঞ্চালনে বাধা প্রদান করে। ধূমপানের বিষক্রিয়া প্রথমে ফুসফুসে ও পরে রক্তে মিশে নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে।
ফলে দেখা যায় যক্ষ্মা, ব্রংকাইটিস, আলসারসহ নানা রোগের কারণ। দন্তশূল, মাথা ঘোরা, ক্ষুধামান্দ্যর ফলে ধূমপায়ীর শারীরিক অবনতি ঘটে। চোখের দৃষ্টি পর্যন্ত নষ্ট এবং ঠোঁট, মুখ, দাঁত ইত্যাদির মারাত্মক ক্ষতি করে ধূমপান। গবেষকেরা বলেন, দুটি সিগারেটে যে পরিমাণ নিকোটিন থাকে, তা সুস্থ মানুষের দেহে প্রবেশ করানো হলে তার তাৎক্ষণিক মৃত্যু ঘটবে।
ওসমান গনি
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।