নোয়াখালীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়কের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৪ জানুয়ারি) রাতে নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীর হাসপাতাল রোড মধুসূদনপুর এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) সমন্বয়ক ২০২২—২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান সীমান্ত (২২), বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নোয়াখালী সরকারি কলেজের ছাত্র প্রতিনিধি মামুনুর রশীদ তুষার (২৫) ও গালিব মাহমুদ (২৫) গুরুতর আহত হন।
জানা যায়, রবিবার (৫ জানুয়ারি) মধ্যরাত আনুমানিক ১২:১৫ মিনিটের সময় মামুনুর রশিদ তুষার মেসেঞ্জার গ্রুপে ছাত্রলীগের হাতে বন্দী বলে সাহায্যের জন্য আবেদন করে।
এরপর নোবিপ্রবি শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান সীমান্তসহ আরো কয়েকজন শিক্ষার্থী সেখানে যায়। যাওয়ার পর মাইজদীর হসপিটাল রোডে তাদের ৩ জনকে বেধরক মারপিট করে গুরুতর আহত করা হয়। পরবর্তীতে তাদেরকে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যার জেনারেল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ভুক্তভোগী মামুনুর রশীদ তুষার বলেন, নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীর ফ্ল্যাট রোডে লিটন হোন্ডা ওয়ার্কশপের একটি দোকানের অবৈধ দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করায় আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মধুপুর মাদ্রাসার সামনে দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। ঘটনাটি জানতে পেরে আমার সহযোদ্ধারা এগিয়ে এলে তাদেরকে প্রতিরোধ করা হয়। আমরা কোনো মতে দৌঁড়ে সুধারাম মডেল থানার সামনে আসি।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নোয়াখালীর সুধারাম থানার ওসি জানান, আমরা সকাল ৬ টার পর দুইজনকে আটক করেছি, তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ ব্যাপারে মামলা করলে আমরা বাকি পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করবো।