একদিকে তীব্র তাপদাহ, অন্যদিকে চলছে ঘন ঘন লোডশেডিং। একটু স্বস্তি পেতে যেই না চার্জার ফ্যানের বাজারে যাচ্ছেন ক্রেতারা, সেখানেও লাগামহীন দামে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ক্রেতাদের পকেট কাটার উৎসবে মেতে উঠেছেন ব্যবসায়ীরা।
বুধবার (৭ জুন) কুমিল্লার বেশ কয়েকটি মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি ফ্যানের দোকানেই মানুষের ভিড়।
মূলত লোডশেডিংয়ের কারণে গরমের অস্বস্তি থেকে বাঁচতে চার্জার ফ্যানের ব্যবহার বেড়েছে। এই ফ্যানে বিদ্যুৎ না থাকলেও বাতাস পাওয়া যায়। বিদ্যুৎ সংযোগে থাকলে ফ্যানের ব্যাটারি নিজে থেকেই চার্জ হয়। পরবর্তীতে বিদ্যুৎ চলে গেলে এই ফ্যান বিভিন্ন সময় পর্যন্ত বাতাস দিয়ে থাকে।
ক্রেতারা বলছেন, দীর্ঘদিন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ থাকায় চার্জার ফ্যান কেনার প্রয়োজনীয়তা বোধ করেননি তারা। তবে হঠাৎ গরম বেড়ে যাওয়ায় এবং বিদ্যুৎ পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় বাধ্য হয়েই কিনছেন চার্জার ফ্যান। কিন্তু অস্বাভাবিক দাম রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
এদিকে পাইকার থেকে বেশি দামে কিনে ও বেশি দামে বিক্রি করছেন জানিয়ে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ইলেকট্রনিকস এসব চার্জার ফ্যান গত ডিসেম্বরে শীতের মধ্যেই আমদানি করেছেন আমদানিকারকরা। এখন গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দাম বাড়িয়ে ধাপে ধাপে ফ্যানগুলো বাজারে ছাড়ছেন তারা। তাদের থেকে বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছেন তারা।
বাজার ঘুরে আরও দেখা যায়, ১২ ইঞ্চি চার্জার ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ৪ থেকে ৫০০০ হাজার টাকায়, যার পূর্বমূল্য ছিল ২ হাজার ৫০০ টাকা। ১৬ ইঞ্চি ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ৭/৮ হাজার টাকায়, যার পূর্ব মূল্য ছিল ৪ হাজার টাকা। ১৮ ইঞ্চি ফ্যান ১১/১২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৯ হাজার টাকা। আবার ব্র্যান্ড ভেদে দাম হাজার টাকা কম-বেশিও বিক্রি হচ্ছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক খুচরা ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের এগুলায় কোনও লাভ নাই। লাভ হলো আমদানিকারকদের আর বড় বড় দোকানদার, যারা ২০০ থেকে ৪০০ পিস স্টকে রাখছে। আমরা দিনে ৮ থেকে ১০ পিস করে আনি। চাহিদা বেশি দেখে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা বেশিতে বিক্রি করি। মূল লাভ তো আমদানিকারকদের।
তবে ডলার সংকট ও এলসি করতে না পারার কারণ দেখিয়ে আমদানিকারকরা বলছেন, নতুন পণ্য আনতে না পারায় পণ্যের সংকট রয়েছে। আর গরম বেড়ে যাওয়ায় চাহিদাও বেড়েছে। তাই সব পক্ষই দাম বাড়িয়েছে।
চার্জার ফ্যান কিনতে দেবিদ্বার থেকে এসেছেন এক ক্রেতা বলেন, ‘‘সাধারণত চাহিদা বাড়লে জিনিসের দাম কমে। অথচ দেশে যে জিনিসের চাহিদা বাড়ে ওই জিনিসেরই দাম বেড়ে যায়। এই যে দেখেন ফ্যানের দাম ব্যবসায়ীরা কত বাড়িয়ে দিয়েছেন। না কিনেও উপায় নেই। বিক্রেতাদের অবস্থা এমন, ‘নিলে নেন, না নিলে নাই।’’
সম্পাদক : শাদমান আল আরবী | নির্বাহী সম্পাদক : তানভীর আল আরবী
ঠিকানা : ঝাউতলা, ১ম কান্দিরপাড়, কুমিল্লা-৩৫০০। ফোন : ০১৩১৬১৮৬৯৪০, ই-মেইল : [email protected], বিজ্ঞাপন: [email protected], নিউজরুম: [email protected] © ২০২৩ রাইজিং কুমিল্লা সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত। | Design & Developed by BDIGITIC