ঘুর্ণিঝড় রিমালায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীদের সার্বিক খোঁজ খবর নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া। এসময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীদের মাঝে খাবার পানি, মোমবাতি ও জেনেরেটরের সাহায্যে পানি তোলার ব্যবস্থা করেন।
সোমবার (২৭মে) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের সার্বিক খোঁজ খবর নিতে আবাসিক হলগুলো পরিদর্শন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। এসময় তিনি হলগুলোর ক্যান্টিন পরিদর্শন করেন ও শিক্ষার্থীদের খাবারের ব্যাপারে খোঁজ নেন।
উপাচার্যের সাথে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. আবদুল কাইউম, শেরে বাংলা হলের সাবেক প্রভোস্ট আবু জাফর মিয়া, ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট হেনা রানি বিশ্বাসসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আরও অনেকে।
শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রতিটি হলে আধা লিটার করে এক হাজার বোতল খাবার পানি বিতরণের জন্য নির্দেশ দেন। হলগুলোতে বিদ্যুত না থাকায় পানি সংকট নিরসনে জেনেরেটরের ব্যবস্থা করেন পানি উত্তোলনের জন্য। এর পর সন্ধ্যায় উপাচার্য হলের প্রতিটি রুমে মোমবাতি বিতরণ করেন। বরিশাল জেলা প্রশাসন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হলে ১০বস্তা করে মোট ৪০বস্তা খাদ্য দ্রব্য বিতরণ করা হয়।
শেরে বাংলা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আরিফ হোসেন বলেন, এই দুর্যোগের মধ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্যার নিজে এসেছিলেন আমাদের সার্বিক খোঁজ নিতে। এসময় তিনি আমাদের খাবার পানির ব্যবস্থা করেন।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের আবাসিক শিক্ষার্থী শিবানুর ইবাদি বলেন, উপাচার্য আমাদের হলে এসেছিলেন, আমাদেরকে খাবার পানি ও মোমবাতি দিয়ে গেছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগে আমরা কেমন আছি তা, উপাচার্য স্যার নিজে দেখতে এসেছিলেন এতে আমরা হলের প্রত্যেকটি শিক্ষার্থী খুশি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, সারাদেশে জাতীয় দুর্যোগ চলছে। এই দুর্যোগে আমি ক্যাম্পাসেই অবস্থান করছি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ হলো শিক্ষার্থী তাদের সার্বিক বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি। আমি তাদের জন্য সুপেয় পানি মোমবাতির ব্যবস্থা করেছি। এছাড়া আরও যা যা করা প্রয়োজন শিক্ষার্থীদের জন্য তা আমি করব।
উল্লেখ্য, রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রো জানা গেছে ঘুর্ণিঝড়ের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের মঙ্গলবার (২৮ মে) সকল ক্লাস পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস কার্যক্রম যথারীতি চালু থাকবে।