ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে কুমিল্লার দক্ষিণাঞ্চলে বিদ্যুতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর প্রভাবে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট, লাকসাম, বরুড়া, চৌদ্দগ্রাম, মনোহরগঞ্জ ও লালমাই উপজেলায় সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় প্রায় সাড়ে ৫ লাখ পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহক অন্ধকারে রয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৪। তবে আবহাওয়া ভালো থাকলে সকালের পর থেকে উপজেলা সদরগুলোয় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হবে।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে মধ্যরাত থেকেই ঝড়ো হাওয়ার সাথে শুরু হয় বৃষ্টি। সকাল থেকে থেমে থেমে দুপুর পর্যন্ত সারাদিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকে।
এর মধ্যে বৈদ্যুতিক তারে গাছ পড়ে কুমিল্লার বেশ কয়েকটি এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ঝড়ো বৃষ্টি শুরু হলে নিজ নিজ গন্তব্যে চলে যায় সাধারণ মানুষ।
এছাড়া নাঙ্গলকোট, লাকসাম, মনোহরগঞ্জ ও লালমাই উপজেলা গাছ পড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়া, ঘর-বাড়ির টিন উপড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
লাকসাম উপজেলার খিলা ইউনিউনের রাজাপুর গ্রামের আবুল খায়ের বলেন, গাছ পড়ে বিদ্যুৎতের তার ছিড়ে গেছে। কখন বিদ্যুৎ আসে বলা যায় না।
এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট পল্লী বিদ্যুৎ -৪ এজিএম সহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ফেনী ও কুমিল্লা গ্রেডে মেইন লাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। আগামীকাল সকাল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। অনেক জায়গায় গাছ পড়ে বিদ্যুৎ লাইন ছিঁড়ে গেছে।’