গাজার একমাত্র ক্যান্সার হাসপাতাল বন্ধের পথে ইসরায়েলের ক্রমাগত হামলায়। জ্বালানি সংকটে পড়ে দেয়া যাচ্ছে না প্রয়োজনীয় চিকিৎসা।
আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এরই মধ্যে রেডিওলজির মতো কিছু পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে হাসপাতালটি। অবরুদ্ধ এ পরিস্থিতিতে গাজার নয় হাজার ক্যান্সার রোগী চিকিৎসার জন্য অন্য কোথাও যেতে পারছেন না।
এটি তুরস্ক-ফিলিস্তিন ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল। ওই হাসপাতালের কর্মকর্তা ড. সুভি সাকেক সতর্ক করে বলেছেন, হাসপাতালের সেবা জারি রাখার জন্য অতিপ্রয়োজনীয় জ্বালানির সংকট শুরু হয়েছে। পাশাপাশি কেমোথেরাপির জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধের সংকটেও পড়েছি আমরা। আমরা শুধু অপরিহার্য সেবাগুলো দিতে পারছি। তবে রোগ নির্ণয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা এরই মধ্যে বন্ধ করে দিতে হয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজীরবিহীন হামলার পর ইসরায়েল গাজায় গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ ও ওষুধ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। এতে মানবিক সংকটের সৃষ্টি হয় গাজায়। কারণ, গাজার বিদ্যুৎ ও জ্বালানির উৎস হচ্ছে ইসরায়েল।
ইসরায়েল অবরোধ দেয়ায় হাসপাতালগুলো বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পড়ে। যার ফলে অনেক ধরনের সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এভাবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট চলতে থাকলে ক্যান্সার হাসপাতালটি দ্রুতই বন্ধ হয়ে যাবে।
ইসরায়েলের সরাসরি হামলা থেকে বাদ পড়েনি গাজার হাসপাতালও। গত মঙ্গলবার আল আহলি হাসপাতালে হামলায় প্রায় ৫০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। সূত্র: আল জাজিরা
সম্পাদক : শাদমান আল আরবী | নির্বাহী সম্পাদক : তানভীর আল আরবী
ঠিকানা : ঝাউতলা, ১ম কান্দিরপাড়, কুমিল্লা-৩৫০০। ফোন : ০১৩১৬১৮৬৯৪০, ই-মেইল : [email protected], বিজ্ঞাপন: [email protected], নিউজরুম: [email protected] © ২০২৩ রাইজিং কুমিল্লা সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত। | Design & Developed by BDIGITIC