
২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের আত্মত্যাগ স্মরণে এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল।
শনিবার (১৯ জুলাই) বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে এই মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়, যাতে ছাত্রদলের প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীসহ অনেকেই অংশগ্রহণ করেন।
এই মিলাদ মাহফিলে শহীদদের স্মরণ করে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয় এবং যারা আন্দোলনের সময় আহত হয়ে এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন, তাদের সুস্থতার জন্য বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।
দোয়া পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব। তিনি তার বয়ানে বলেন, “দেশ ও জাতির কল্যাণে যারা জীবন উৎসর্গ করেন, তারা জাতির ইতিহাসে অমর হয়ে থাকেন। শহীদদের জন্য দোয়া ও স্মরণ একটি নৈতিক দায়িত্ব।”
শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মতে, “গণতন্ত্র ও নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যে আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল, তাতে শহীদরা তাদের রক্ত দিয়ে পথ দেখিয়ে গেছেন, কিভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়। তাদের আত্মত্যাগ যেন বিস্মৃত না হয় এবং যেন রাষ্ট্র তাদের যথাযোগ্য সম্মান দেয়—এই আহ্বান জানান তারা।”
তারা আরো বলেন, “এই শহীদরা আমাদের অহংকার। তারা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেছিলেন, যেখানে মানুষের মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত থাকবে। আমরা তাদের আদর্শ লালন করে সেই রাষ্ট্র নির্মাণে অঙ্গীকারাবদ্ধ।”
এই মিলাদ মাহফিলটি নিছক একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং এটি ছিল এক আবেগঘন পরিবেশ, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা শুধু অতীতকে স্মরণ করেননি, ভবিষ্যতের দিক-নির্দেশনাও খুঁজে পেয়েছেন।
দোয়া ও মিলাদের মাধ্যমে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আন্দোলনের ধারাবাহিকতা এবং ছাত্রসমাজের ঐক্য বজায় রাখার গুরুত্বও তুলে ধরেন।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শিক্ষার্থীসহ বহু মানুষ হতাহত হন। আন্দোলনের মূল বিষয় ছিল গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, বাকস্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ এবং রাজনৈতিক নিপীড়নের অবসান। এই প্রেক্ষাপটে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের এই উদ্যোগ বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
দোয়া ও মিলাদ মাহফিল শেষে উপস্থিত সবার মাঝে তবারক বিতরণ করা হয় এবং ভবিষ্যতে শহীদদের স্মরণে আরও বৃহৎ পরিসরে কর্মসূচির আশ্বাস দেন নেতারা।