কোটা সংস্কার আন্দোলনের জেরে কুমিল্লায় সংঘটিত সহিংসতা-নাশকতার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি থানায় ৫টি মামলা দায়ের করেছে। এতে প্রায় ৮হাজার মানুষকে আসামি করা হয়েছে। এসব মামলায় আজ বুধবার বিকেল পর্যন্ত ১৩৭ জন গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
কুমিল্লা পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘পুলিশ–বিজিবির গাড়ি ভাঙচুরসহ নাশকতামূলক কাজ করায় পাঁচটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ১৩৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে। যারা সরাসরি নাশকতার সঙ্গে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা জাহাঙ্গীর আলম, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর জামায়াত নেতা একরামুল হক বাবু, আদর্শ সদর উপজেলা জামায়াতের আমির নাসির উদ্দিন মোল্লা, কোতোয়ালি থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সোহেল, কোতোয়ালি থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাজু, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সারোয়ার দোলন, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাজেদুল সাজু, মো. সুজন, আরমান আলী, বিএনপি নেতা দুলাল আহমেদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ডাক্তার শাকিল আহমেদ, ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ছাত্রদল নেতা মো. মুন্না, কুসিক ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি গাজী রাসেল প্রমুখ।
কুমিল্লা বুড়িচং ও দাউদকান্দি, সদর দক্ষিণ থানার সূত্র জানা গেছে, ১৮জুলাই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা কোটবাড়িতে পুলিশের সাথে কোটা সংস্কারপন্থী শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়।
এসময় পুলিশের দুইটি ও বিজিরি একটি গাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়। এই ঘটনায় সদর দক্ষিণ থানায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা দায়ের করে।
এতে ৩৪জনের নামসহ ও অজ্ঞাত সাড়ে ৭হাজার মানুষকে আসামি করা হয়। বুড়িচং থানার মামলায় ৮জনের নামে ও অজ্ঞাত ৪০ মানুষের বিরুদ্ধে নামে মামলা দায়ের করা হয়। দাউদকান্দি থানায় ২৯জনের নামে ও অজ্ঞাত ২৫০জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়।