কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকায় মরা গাছের সংখ্যা যেন দিন দিন বাড়ছে। এ সড়কের শুধু দেবিদ্বার অংশে প্রায় ছোট বড় প্রায় তিন শতাধিক মরা গাছ রয়েছে। বৃষ্টি এবং প্রচণ্ড ঝোড়ো বাতাসে এসব গাছের শুকনো ডালপালা ভেঙে পড়ে আহত হচ্ছেন পথচারী এবং ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যানবাহন।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের ছগুরা থেকে উপজেলার শেষ সীমানা ভিংলাবাড়ি পর্যন্ত সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, মহাসড়কের দুই পাশে শিশু, মেহগনি, রেইনট্রি অসংখ্য মরা গাছ রয়েছে। কোনোটিতে ঘুণ ধরেছে, আবার কোনোটিতে কাঠপোকা বাসা বেঁধেছে। মরা কয়েকটি গাছ সড়কে হেলে পড়েছে। এতে যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসী শঙ্কিত।
এদিকে পৌরসভার বাসিন্দাদের ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় সাইলচর এলাকায় এসব মরা গাছের নিচে ময়লা-আবর্জনা ফেলে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছেন পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। ফলে ধোঁয়া ও ময়লার দুর্গন্ধে পরিবেশদূষণসহ অর্ধশতাধিক গাছের গোড়া পচে মরে গেছে। সামান্য বৃষ্টি বা বাতাস এলে সড়কেই ভেঙে পড়ছে মরা গাছ ও ডালপালা। এতে আহত হচ্ছেন বিভিন্ন যানবাহনের চলাচল করা যাত্রীরা।
জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বলেন, এ সড়কে মরা গাছগুলো মানুষের নির্বিঘ্নে চলাচলে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে। হালকা বাতাস এলেই সড়কের ওপর ভেঙে পড়ছে আস্ত গাছ ও শুকনো ডালপালা। এতে অনেক পথচারী ও যাত্রীরা আহত হচ্ছেন। মরা গাছগুলো দ্রুত অপসারণ করা দরকার।
দেবিদ্বার থেকে চরবাকরে চলাচল করা সিএনজি চালক সাব্বির হোসেন বলেন, একবার প্রচণ্ড বাতাসে আমার সিএনজির ওপর মরা গাছের একটি ডাল ভেঙে পড়ে, আমিসহ সিএনজির যাত্রীরা অল্পতে রক্ষা পাই। নিয়মিত এ সড়কে চলতে হয়, একটা আতঙ্ক কাজ করে।
দেবিদ্বার উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা আবদুল মতিন বলেন, কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কটি ফোর লেন হওয়ার কারণে আগামী মাসে এ সড়কের মরা ও জীবিত ৩ হাজার ৪০০টি গাছ কাটার টেন্ডার নোটিশ করা হবে। এরপর সড়কটির ফোরলেন নির্মাণকাজ শুরু হবে।