উন্নয়ন অনুদানকে অধিক গুরুত্ব এবং নতুন কোনো কর বৃদ্ধির ঘোষণা না দিয়ে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের (কুসিক) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের হাজার কোটি টাকার বেশি বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। যা ২০১১ সালে এই সিটি কর্পোরেশনের প্রতিষ্ঠার পর সর্বোচ্চ বাজেট।
রোববার (৩০ জুন) দুপুরে কুসিক অতিন্দ্রমোহন রায় সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে ১ হাজার ৪৪ কোটি ৫০ লক্ষ ৮৩ হাজার ৪৬৪ টাকার প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করেন মেয়র ডা. তাহ্সীন বাহার সূচনা।
বাজেট বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রস্তাবিত বাজেটে মোট নিজেস্ব রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৭৯ কোটি ৩৫ লাখ ৩২ হাজার টাকা। উন্নয়ন অনুদান ধরা হয়েছে ৮৩৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। মোট আয় ও প্রাপ্তি ধরা হয়েছে ৯১৪ কোটি ৯৭ লাখ ৩৭ হাজার টাকা। এছাড়াও প্রারম্ভিক তহবিল ধরা হয়েছে ১২৯ কোটি ৫৩ লাখ ৪৬ হাজার ৪৬৪ টাকা।
অন্যদিকে নিজস্ব রাজস্ব ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৪ কোটি ৫০ লাখ ৪৫ হাজার টাকা এবং উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৫৮ কোটি ৮৬ লাখ ৫৯ হাজার ৭৮৩ টাকা। সমাপনী তহবিল ধরা হয়েছে ৩১ কোটি ১৩ লাখ ৭৮ হাজার ৬৮১ টাকা।
বাজেট ঘোষণাকালে মেয়র ডা. তাহ্সীন বাহার সূচনা বলেন, নগরবাসীর সুবিধার্থে হোল্ডিং ট্যাক্সসহ কোনো ধরনের অযৌক্তিক কর আরোপ করা হবে না। তবে বকেয়া কর আদায়ের ক্ষেত্রে আমরা কিছু পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।
মেয়র সূচনা বলেন, নগরীর মানুষ গণশৌচাগার সঙ্কটে দুর্ভোগে পড়েন। নারীরা ঝামেলায় পড়েন বেশি। আমাদের পর্যাপ্ত জায়গাও নেই। নগরীর পরিত্যক্ত ভবন উচ্ছেদ করে সেখানকার আন্ডারগ্রাউন্ডে গণশৌচাগার করার প্রস্তুতি আমরা নিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা নগরীকে অপরিকল্পিত নগরায়ন থেকে মুক্ত করা, যানজট, জলাবদ্ধতা নিরসন, অবৈধ পার্কিং উচ্ছেদ, অনুমোদনবিহীন ভবন চিহিৃত করা, ছাদ বাগানসহ নগরীর সৌন্দর্য বর্ধনে বেশ কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।
এবিষয়ে তিনি নগরীরবাসীকেও সহায়তার আহ্বান জানান।
এছাড়াও সরকারি অর্থায়নে নতুন নগর ভবন নির্মাণসহ বেশ কিছু মেগা প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন মেয়র।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুন নাহার, প্রধান প্রকৌশলী জিপি চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সায়েম ভূঁইয়া, মাইনউদ্দীন চিশতী, প্যানেল মেয়র হাবিবুল আল আমিন সাদি, মনজুর কাদের মনি, প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমানসহ কুসিকের সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলরবৃন্দ।