
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের (কুসিক) মেয়র পদে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ এক সপ্তাহ পরই অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। এরই অংশ হিসেবে মেয়র প্রার্থী মো. মনিরুল হক সাক্কুর উঠান বৈঠকে এবার ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া নগরীর রেসকোর্স এলাকায় সাক্কুর ‘রেড রুফ ইন’ নামক হোটেল ও রেস্টুরেন্টে হামলা চালানো হয়েছে।
গতকাল সোমবার (৪ মার্চ) বিকেল এ দুটি ঘটনা ঘটে। রাত নয়টায় মনিরুল তাঁর বাসভবনে এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু অভিযোগ করে বলেন, সোমবার বাদ আসর কুমিল্লা নগরীর ৯ নম্বর ওয়ার্ড বাগিচাগাঁও এলাকায় টেবিলঘড়ি প্রতীকের পক্ষে উঠান বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠক শুরুর আগে মানুষ যখন জড়ো হন, তখন পাশের একটি ভবনের ছাদ থেকে ককটেল নিক্ষেপ করে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়। এ ছাড়া একজন যুবক বোরকা পরে বৈঠকে হামলার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, বাগিচাগাঁওয়ে উঠান বৈঠকে হামলার কিছুক্ষণ পর নগরীর রেসকোর্স এলাকায় অবস্থিত আমার মালিকানাধীন হোটেল রেডরুফ-ইন এ হামলা চালানো হয়। এসময় হোটেলে ভাঙচুরসহ হোটেলের সুপারভাইজার কবির হোসেন, স্টাফ ফারুক, রুহুল আমিন ও নাসিরকে আহত করা হয়।
উল্লেখ্য, ৯ মার্চ কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে উপনির্বাচন হবে। এতে মেয়র পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে কুমিল্লা সিটিতে দুই লাখ ৪২ হাজার ভোটার রয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ ১৮ হাজার ১৮২ জন পুরুষ ভোটার এবং ১ লাখ ২৮ হাজার ২৭৮ জন নারী ভোটার রয়েছেন। এ ছাড়া ২ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন। কুমিল্লা সিটিতে মোট ১০৫টি ভোটকেন্দ্রের ৬৪০টি কক্ষে ভোট নেয়া হবে।