
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন উদ্যােগে ইফতার ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।
শুক্রবার (২১ মার্চ) কুমিল্লার আলেখারচরে মায়ামি রেস্টুরেন্টে এ অনুষ্ঠানের আয়েজন করা হয়।এতে মো.পলাশ হাসান সঞ্চালনা করেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভােতি হাছিবুল ইসলাম সবুজ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান ডা. শাহ মোহাম্মদ সেলিম। এছাড়াও বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীসহ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শাহ মোহাম্মদ সেলিম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় শুধু শিক্ষালাভের স্থান নয়, বরং এটি এমন একটি জীবন যেখানে রাজনীতি সহ নানা বিষয় থাকবে। তবে সবকিছুর ঊর্ধ্বে থেকে একজন ছাত্র হিসেবে নিজেকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কুমিল্লায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল। শুধু পড়াশোনায় সীমাবদ্ধ না থেকে, তারা দেশের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত এবং ভবিষ্যতেও দেশের অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের এই আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আজকের এই ইফতার মাহফিল আমাদের ভ্রাতৃত্ব ও ঐক্যের বন্ধনকে আরও দৃঢ় করার একটি মাধ্যম।আমি এই স্টুডেন্ট এসোসিয়েশনের সকল সদস্যকে আমি ধন্যবাদ জানাই, যারা কঠোর পরিশ্রম করে এই আয়োজন সফল করেছে। পাশাপাশি, আমি আহ্বান জানাবো এই সংগঠন যেন শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ও ব্যক্তিগত উন্নয়নে আরও বেশি ভূমিকা রাখে।’
সভাপতি হাসিবুল ইসলাম সবুজ বলেন,” আজকের এই পবিত্র মাহে রমজানের ইফতার অনুষ্ঠানে আপনাদের উপস্থিতি আমাদের সংগঠনের জন্য অত্যন্ত আনন্দের ও গর্বের বিষয়। আমরা একত্রিত হয়েছি শুধুমাত্র ইফতার গ্রহণের জন্য নয়, বরং ভ্রাতৃত্ব ও সহমর্মিতার বন্ধন আরও দৃঢ় করার জন্য। রমজান আমাদের সংযম, সহানুভূতি ও আত্মশুদ্ধির শিক্ষা দেয়। এই শিক্ষা শুধু রমজান মাসের জন্য নয়, বরং আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিফলিত হওয়া উচিত। আমরা যেন এই শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে সমাজে শান্তি, সম্প্রীতি ও কল্যাণ বয়ে আনতে পারি। আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমাদের সম্মানিত অতিথিদের প্রতি, যারা সময় বের করে আমাদের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন। আল্লাহ আমাদের রোজা, ইবাদত ও দান-সদকা কবুল করুন এবং আমাদের সংগঠনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার তাওফিক দিন।”