
সপ্তদশ বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) পরীক্ষায় সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দুই শিক্ষার্থী। তারা মেধাতালিতায় ৫৫তম ও ৬৯ তম স্থানে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। এর আগে আরও তিনজন জন সহকারী জজ হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) জেলা ও দায়রা জজ-এর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শরীফ এ.এম.রেজা জাকের কর্তৃক সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করা হয়।
সুপারিশপ্রাপ্ত কুবি শিক্ষার্থী দু’জন হলেন— বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী স্বর্ণালি (৫৫ তম) এবং ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রুবাইয়াত আল মাহিম (৬৯ তম)।
রুবাইয়াত আল মাহিম বলেন‚ ‘আইন বিভাগে ভর্তির পর থেকেই জজ হওয়ার ইচ্ছা ছিল৷ তবে এটা যে প্রথমবারেই হয়ে যাবে তা ভাবিনি। প্রথমেই আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই। সেইসাথে মা, বাবা, দুলাভাই এবং আমার কাছের বন্ধু ও ছোটভাইদের কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। সর্বশেষ আমার বিভাগের শিক্ষকদের কাছে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানাই তাঁরা সর্বদা আমার খোঁজ খবর নিয়েছেন। এ বছর আমরা দু’জন সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছি। আমি আশা করছি সামনের দিকে আইন বিভাগ থেকে আরও বেশি বেশি শিক্ষার্থী জজ হিসেবে নিয়োগ পাবে।’
সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী স্বর্ণালি বলেন, ‘আজকে আমার জন্য একই সাথে আনন্দের এবং কষ্টের দিন।আমি এইবার খুবই ক্রিটিক্যাল সময়ে পরীক্ষা দিয়েছি। আমি যখন পরীক্ষা দিচ্ছিলাম তখন আমার বাবা আইসিইউতে ছিল। সবচেয়ে কষ্টের ব্যাপার হচ্ছে আমি জজ হওয়ার খবরটা আমার বাবাকে দিতে পারিনি। কারণ তিনি এখন আর পৃথিবীতে নাই। তবে আমার পরিবারের সবাই খুবই আনন্দিত।’
আমার এই সাফল্যের পেছনে আমার বিভাগের সম্মানিত শিক্ষকদের অনেক অবদান আছে। সেই সাথে আমার পরিশ্রম এবং আমার পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতায় আজকে আমার এই পর্যন্ত আসা।’
আইন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান মো. আলী মোর্শেদ কাজেম বলেন‚ ‘সপ্তদশ বাংলাদেশ জুড়িসিয়াল সার্ভিস পরীক্ষায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের দুইজন শিক্ষার্থী সহকারী জজ হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ায় বিভাগের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। তাদের সফলতায় আইন বিভাগ গর্বিত।’