নভেম্বর ২৩, ২০২৪

শনিবার ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে পেটালো ছাত্রলীগের একাংশ

ছবি: প্রতিনিধি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) কোটা আন্দোলনকারী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে পিটিয়েছে শাখা ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা।

ওই ঘটনায় জড়িতদের মারতে লাঠিসোঁটা নিয়ে শোনাউন দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু হলের প্রায় দেড় থেকে দুই শতাধিক আবাসিক শিক্ষার্থী। এনিয়ে দুই হলের শিক্ষার্থীদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর নাম ফরহাদ কাউসার। তিনি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১৬ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি হবিগঞ্জ জেলায়।

সোমবার (১৫ জুলাই) রাত ৯ টায় নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

এর আগে শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাদাৎ মোহাম্মদ সায়েম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্টে লিখেছেন, কুমিল্লা বিশ্বিবদ্যালয়ে অবস্থান করছি আসো খেলা হবে। এরপর পরপরই কোটা আন্দোলনকারীদের মারতে বেপরোয়া হয়ে উঠে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ফরহাদ রাত ৮ টায় টিউশন শেষে ফেরার পথে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের কাছাকাছি আসলে তার বিভাগের সিনিয়র আসিফ এন্তাজ রাব্বি ডেকে নিয়ে যান। তার পথ অবরোধ করে তার মোবাইল ফোন চেক করেন এবং কোটা আন্দোলনে কেন যায় এ জন্য বকাঝকা করতে থাকেন। এসময় মোবাইলে তার ছবি দেখিয়ে বলে ‘এই বেটা এটা তুই নি? রাজাকার কারে বললি?’ বলে তাকে চড় ঘুসি দিতে থাকে। কাউসারকে প্রথমে ছাত্রলীগ কর্মী রবিউল আলম রিয়াজ মারধর করেন।

এসময় পাভেল ( নৃবিজ্ঞান বিভাগ), তৌসিফ, রবি দাস (মার্কেটিং বিভাগ), আশিকুর রহমান রাফি (মার্কেটিং বিভাগ), লামিম, অর্ণব সিংহ রায় ও ছাত্রলীগের পদ প্রত্যাশী মেসবাহুল হক শান্ত উপস্থিত ছিলেন।

ভোক্তভোগী ফরহাদ কাউসার বলেন, আমি বাস থেকে নেমে হলে যাওয়ার সময় দত্ত হলের রিয়াজ, রবি, পাবেলসহ আরও কয়েকজন আমাকে পিছন থেকে ডাক দেয়। এরপর তারা আমাকে জিজ্ঞেস করে আমি কোটা আন্দোলনের সমন্বয়ক কিনা। আমি না বলার পর তারা আমার ফোন চেক করে। সেখানে কোটা সংক্রান্ত একটা গ্রুপ দেখতে পেয়ে আমাকে বলে তুইতো কোটা আন্দোলন করোস, তুইতো স্লোগান দেস এসব বলে আমাকে মারধর করে। আমি এ ব্যাপারে প্রক্টরকে অভিযোগ দিব।

মারধরকারী ছাত্রলীগ কর্মী রিয়াজ, রবি ও রাফিকে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।

আকতারুজ্জামান পাভেল বলেন, আমি সেখান ছিলাম কিন্তু আমি মারিনি। ওই ছেলের বিভাগের বড়ভাই রাব্বি দেখলাম ওর ফোন চেক করতেছে। এরপর কে মারছে আমি ভিড়ের মধ্যে আর কিছু দেখিনি।

প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী রানা বলেন, অভিযোগ না পেলে আমরা ব্যবস্থা নিব না। ছাত্রলীগের বিষয় ছাত্রলীগ মীমাংসা করবে বলে তিনি জানান। প্রক্টরের কাজ কি তা জানতে চাইলে তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।