
গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হয়ে পশ্চিমা এজেন্ডা বাস্তবায়নে লিপ্ত হয়েছে —এমন অভিযোগ তুলে কুমিল্লায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে উলামা জনতা ঐক্য পরিষদ।
গতকাল শুক্রবার (১৯ জুলাই) কুমিল্লা মহানগরীর এই সমাবেশে বক্তারা বাংলাদেশে জাতিসংঘের কথিত মানবাধিকার কার্যালয় খোলার সরকারি সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেন এবং সম্প্রতি তিনজন ইসলামি আলোচকের বিরুদ্ধে দায়ের করা ‘ভূয়া জঙ্গি মামলা’ প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান।
উলামা জনতা ঐক্য পরিষদের নেতারা বলেন, দুই হাজারের বেশি ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে যে সরকার ক্ষমতায় এসেছে, তারা জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ না করে পশ্চিমা এজেন্ডা বাস্তবায়নে সচেষ্ট। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে জাতিসংঘের কথিত মানবাধিকার কার্যালয়ের অফিস খোলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যানযোগ্য।
বক্তারা অভিযোগ করেন, সাবেক ফ্যাসিবাদী সরকারের মতো বর্তমান সরকারও ‘জঙ্গি নাটকের’ মঞ্চায়ন করে প্রতিবাদী তরুণ ইসলামপন্থীদের দমনের চেষ্টা করছে। গত ১৫ জুলাই মুফতি রেজাউল করিম আবরার, লেখক আসিফ আদনান এবং জাকারিয়া মাসুদ—এই তিনজন তরুণ ইসলামি আলোচককে পলাতক আসামি দেখিয়ে একটি ‘ভূয়া ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত জঙ্গি মামলা’ দেওয়া হয়েছে। অথচ অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে সভা-সেমিনারে বক্তব্য রাখছেন এবং স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন। সমাবেশ থেকে অবিলম্বে এই মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
উলামা জনতা ঐক্য পরিষদ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেছে, যদি তারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাবিরোধী বিদেশি এজেন্ডা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে যেকোনো আন্দোলন-সংগ্রামে নামতে বাধ্য হবে।
কুমিল্লা মহানগর হেফাজতে ইসলামের সভাপতি মুফতি শামসুল ইসলাম জিলানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন মাওলানা সাখাওয়াত রাহাত, মাওলানা হাবীব, মাওলানা ইসহাক, সাইফুর রহমান রাফি, দ্বীন ইসলাম এবং ইফতেখার মাহমুদ।