কুমিল্লার লালমাই উপজেলার জগতপুর উত্তরপাড়ায় গ্রামে সোমবার (১২ মে) স্থানীয় গ্রামবাসীরা ফসলি জমি থেকে ধাওয়া করে একটি মেছোবাঘ আটক করছে।
বর্তমানে বাঘটিকে একটি কবুতরের খাঁচায় বন্দি করে রাখা হয়েছে এবং এটি দেখতে উৎসুক জনতার ভিড় করছে।
জগতপুর গ্রামের বাসিন্দা ও একজন অটোরিকশা চালক এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, তিনি তার বাড়ির পাশের ফসলি জমির আইলে ঘাস কাটছিলেন। হঠাৎ কয়েকজন গ্রামবাসীকে একটি মেছোবাঘের পিছু ধাওয়া করতে দেখেন। একপর্যায়ে বাঘটি ধরা পড়ে এবং পরে এটিকে একটি কবুতরের খাঁচায় বন্দি করে রাখা হয়। বর্তমানে বাঘটি ওই চালকের ভাই অলি উল্লাহর হেফাজতে রয়েছে।
অলি উল্লাহ জানান, তিনি শখের বসে কবুতরসহ বিভিন্ন পাখি পালন করেন। গ্রামবাসীরা মেছোবাঘটিকে ধরে তার কাছে হস্তান্তর করেছে। তিনি এটিকে নিয়মিত খাবার দিচ্ছেন। সরকারি কোনো সংস্থা যদি বাঘটির দায়িত্ব না নেয় অথবা আইনি কোনো জটিলতা না থাকে, তাহলে তিনি এটিকে স্থায়ীভাবে নিজের কাছে রাখতে আগ্রহী।
এদিকে, মেছোবাঘ আটকের খবরটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। উৎসুক মানুষজন খাঁচায় বন্দি বাঘটিকে দেখার জন্য অলি উল্লাহর বাড়িতে ভিড় করছেন।
এই বিষয়ে লালমাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিমাদ্রী খীসা বলেন, তিনি জগতপুর গ্রামে একটি মেছোবাঘ খাঁচায় বন্দি থাকার খবর জানতে পেরেছেন। তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি বন বিভাগের কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, বন বিভাগের কর্মকর্তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে বাঘটিকে উদ্ধার করবেন এবং সুস্থ করার পর এটিকে উপযুক্ত পরিবেশে অবমুক্ত করবেন।
উল্লেখ্য, মেছোবাঘ একটি বিপন্ন বন্যপ্রাণী এবং এটি সাধারণত জলাভূমির আশেপাশে বাস করে। লোকালয়ে এদের আগমন খাদ্য সংকট কিংবা আবাসস্থল হারানোর কারণে হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গ্রামবাসীদের এমন তৎপরতায় বাঘটি অক্ষত অবস্থায় ধরা পড়লেও, বন্যপ্রাণী ধরা এবং খাঁচাবন্দি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। বন বিভাগ এখন এই মেছোবাঘটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণে কি পদক্ষেপ নেয়, সেটাই দেখার বিষয়।
সম্পাদক : শাদমান আল আরবী | নির্বাহী সম্পাদক : তানভীর আল আরবী
ঠিকানা : ঝাউতলা, ১ম কান্দিরপাড়, কুমিল্লা-৩৫০০। ফোন : ০১৩১৬১৮৬৯৪০, ই-মেইল : [email protected], বিজ্ঞাপন: [email protected], নিউজরুম: [email protected] © ২০২৩ রাইজিং কুমিল্লা সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত। | Design & Developed by BDIGITIC