কুমিল্লা জেলায় লেটুসপাতা চাষ সহজ ও লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা এ চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। জেলায় ৭ শতক জমিতে লেটুসপাতার আবাদ হয়েছে।
ফাস্টফুডের খাবারের দোকানগুলোতে লেটুসপাতার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। জেলার বুড়িচং উপজেলার গোক্ষর গ্রামে লেটুসের চাষ শুরু করেছে ওই গ্রামের শিক্ষার্থী সৌরভ ভৌমিক। এলাকার লোকজন প্রথমদিকে এ পাতা চিনতেন না। অনেকটা বাঁধাকপির মতো দেখতে। ভালো লাভ হওয়ায় লেটুসপাতা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।
সৌরভ ভৌমিক জানান, তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাঞ্ছারামপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে তিনি এ লেটুসপাতা দেখেন। এরপর তিনি ইন্টার্নি করতে আসেন নিজ এলাকা বুড়িচং উপজেলায়।
সেখানে কৃষি অফিসার বানিন রায় ও উপসহকারী কৃষি অফিসার সুলতানা ইয়াসমিনের পরামর্শে ডাব বেগুনের জমিতে লেটুসপাতা চাষ করেন। ৭ শতক জমিতে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ডাব বেগুন বিক্রি করে দেড় লাখ টাকার মতো। সঙ্গে ২ হাজার টাকা খরচে লেটুসের চারা লাগিয়েছেন। বিক্রি হয়েছে ২০ হাজার টাকা। আগামী বছর আরও বড় পরিসরে লেটুসের চাষ করবেন।
স্থানীয় ময়নামতি, নিমসার বাজারে পাইকারি ১০০ টাকা কেজি বিক্রি করেন। এগুলো খুচরা ৩০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়। তার লেটুসের চাষ দেখে অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন। চাইনিজ খাবার, বার্গার ও সালাদে লেটুসের ব্যবহার রয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার বানিন রায় বলেন, লেটুস, ক্যাপসিক্যাপ এ এলাকায় অপ্রচলিত ফসল। তবে বাজার মূল্য বেশি। বেগুন ও মরিচের জমিতে এসব সবজির চাষ করা যেতে পারে। এগুলো কম খরচে কম সময়ে সাথী ফসল হিসেবে উৎপাদন করা যায়। এতে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। তবে বিক্রির নিশ্চয়তা থাকলে তারা বেশি লাভবান হতে পারবেন।
হর্টিকালচার সেন্টার কুমিল্লার উপ-পরিচালক আমজাদ হোসেন বলেন, এবার আমরা আড়াই হাজারের বেশি চারা বিতরণ করেছি। দিন দিন এই লেটুসপাতার চারার চাহিদা বাড়ছে। লেটুস একটি পাতা জাতীয় সবজি। লেটুসপাতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও বিটা ক্যারোটিন আছে। অনেকে সালাদে লেটুসপাতা খেয়ে থাকেন।
সম্পাদক : শাদমান আল আরবী | নির্বাহী সম্পাদক : তানভীর আল আরবী
ঠিকানা : ঝাউতলা, ১ম কান্দিরপাড়, কুমিল্লা-৩৫০০। ফোন : ০১৩১৬১৮৬৯৪০, ই-মেইল : [email protected], বিজ্ঞাপন: [email protected], নিউজরুম: [email protected] © ২০২৩ রাইজিং কুমিল্লা সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত। | Design & Developed by BDIGITIC