
কুমিল্লা তিতাস উপজেলার আসমানিয়া বাজারসংলগ্ন গোমতী নদীতে কাঠের তৈরি অস্থায়ী সেতুটি বালুবাহী দুটি বলগেটের ধাক্কায় ভেঙে গেছে।
এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সেতু দিয়ে চলাচলকারী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ।
জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কর দাউদকান্দি উপজেলার রায়পুর বাসস্টেশন থেকে তিতাসের বাতাকান্দি বাজার পর্যন্ত ১৫ কিলামিটার সড়কের সংস্কার কাজ চলছে। এই সড়কের আসমানিয়া বাজারের কাছে গোমতী নদীর ওপর একটি সেতুও নির্মাণ করা হচ্ছে। আগের বেইলি সেতুটি ইতোমধ্যে ভেঙে ফেলা হয়েছে এবং সেখানে নতুন সেতুর কাজ চলছে। গোমতী নদীর পূর্ব পাশে আসমানিয়া বাজার।
প্রতিদিন পশ্চিম পারের প্রায় ১৩ গ্রামর লোকজনকে ব্যবসা-বাণিজ্যের কাজে বাজারে যাতায়াত করতে হয়। আবার পূর্ব পারের প্রায় ৭ গ্রামর লোকজনকে উপজেলা শহরে যাতায়াতের জন্য সেতুটি ব্যবহার করতে হয়। নির্মাণাধীন সেতুর পাশে বেইলি ব্রিজের একাংশ সংযোগ করে একটি অস্থায়ী কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়। এই গোমতী নদী দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য বালুবাহী বলগেট চলাচল করে। বুধবার বিকেলে দুটি বালুবাহী বলগেট সেতুর নিচে প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে বলগেট দুটির ধাক্কা লাগে।
এসময় কাঠের তৈরি ওই বেইলি সেতুটি ভেঙে নদীতে পড়ে যায়। এতে একটি বলগেট সেতুর নিচে আটকা পড়ে। সেতুটি ভেঙে পড়ায় প্রায় লক্ষাধিক মানুষ আসমানিয়া বাজারের সাথে চলাচল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম জানান, মে মাস পর্যন্ত নির্মাণাধীন সেতুর ২৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। পাশের অস্থায়ী সেতুটি ৮০ মিটার করার কথা থাকলেও তা ১৫৩ মিটার নির্মাণ করা হয়েছিল। পুরাতন বেইলি ব্রিজের মাঝের অংশটি অস্থায়ী সেতুতে ব্যবহার করা হয়েছিল। সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় প্রায় ৩৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ঈদুল আযহা’র আগ পর্যন্ত অস্থায়ী সেতু নির্মাণ করা সম্ভব নয়।
এ বিষয়ে নারান্দিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুজ্জামান খোকা জানান, ‘একটি খেয়া নৌকার পাশাপাশি আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে একটি ট্রলার দিয়েছি। ট্রলারে মানুষ বিনা পয়সায় যাতায়াত করছে। এতে প্রতিদিন আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ৭ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। যতদিন পর্যন্ত অস্থায়ী সেতু নির্মাণ না হবে ততদিন পর্যন্ত এ সেবা অব্যাহত থাকবে।’
এ বিষয়ে ইউএনও নাজমুল হাসান বলেন, বালুবাহী দু’টি বলগেটের প্রতিযোগিতার কারণে অস্থায়ী সেতুটি ভেঙে গেছে। বলগেট দু’টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের জিম্মায় রাখা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় আসমানিয়া বাজারে উপজেলা প্রকৌশলী ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে বলগেটের মালিকরা বৈঠক করেছেন। তারা ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হয়েছেন। শিগগিরই সেখানে অস্থায়ী সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হবে।