ক্রেতাদের কাছে সবজি বিক্রি করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। ক্রেতার ভিড়ও দেখা গেছে। অনেকে ফুটপাত ধরে হেঁটে যাওয়ার সময় উঁকি মেরে দেখছেন, কেন এত জটলা। এমন পরিবেশের মূল কারণ— এখানে বিক্রি হচ্ছে ন্যায্যমূল্যের সবজি। নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় আলু, পেঁয়াজ, পেঁপে, লাউসহ নানা প্রকার সবজি পাওয়া যাচ্ছে, যা বাজারের চেয়ে অন্তত ৫ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত কমে বিক্রি হচ্ছে। সেটি ঘিরেই মানুষের আগ্রহ। কম দামে সবজি কিনতে পেরে খুশি বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষও।
কথা বলছিলাম কুমিল্লা নগরীর পূবালী চত্বরে শিক্ষার্থীদের সবজি বিক্রির কথা।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের অস্থায়ী ন্যায্যমূল্যে সবজি বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিটি নিত্যপণ্যের তালিকা টানানো আছে। সেখানে প্রতি কেজি আলু ৫৫ টাকা, পেঁয়াজ ১০০ টাকা, রসুন ২১০ টাকা, মাঝারি লাউ ৩০ টাকা, কচুর ছড়া ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, পটল ৪৫ টাকা, প্রতিটি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১ টাকা ৮০ পয়সায়।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, বাজারে শাক-সবজিসহ নিত্যপণ্যের যে ঊর্ধ্বগতি তা কমিয়ে আনতে পাইকারি আড়ৎ থেকে কেনা দামে সাধারণ মানুষের কাছে পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে। বাজারে দ্রব্যমূল্য নির্ধারণের যে সিন্ডিকেট আছে, তা ভাঙতে এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।
সবজি কিনতে আসা সজিব ভুইয়া বলেন, ‘নিত্যপণ্যের দাম অনেক বেড়ে গেছে। শিক্ষার্থীরা বাজারের তুলায় অন্তত ৫ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত কমে বিক্রি করছে সবজি। তাই নিজ থেকেই এখান থেকে সবজি কিনেছি’।
এ বিষয়ে বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী নাজমুল হোসেন বলেন, সাধারণ মানুষকে কম দামে নিত্যপণ্য সরবরাহ করতে চেষ্টা করছেন তারা। সিন্ডিকেট ভাঙতে অন্তত আরও ১০ দিন এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।
তিনি আরও বলেন, সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এবং বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত কুমিল্লার পূবালী চত্বরে এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।