কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের (কুসিক) মেয়র পদে উপনির্বাচনে লড়তে চার হেভিওয়েট প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুমিল্লার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেনের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন তারা।
জানা গেছে, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে লড়তে আজ মঙ্গল বিকেল পর্যন্ত দুইবারের সাবেক মেয়র ও বিএনপির সাবেক নেতা মনিরুল হক সাক্কু ছাড়াও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সার, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাহসিন বাহার সূচনা, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম।
মনিরুল হক সাক্কু পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তার সমর্থিত নেতাকর্মীরা। এছাড়া সকলেই রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে নিজে এসে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এদিকে মনোনয়নপত্র জমাদানের পর গণমাধ্যমকে তাহসীন বাহার বলেন, ‘আমার বাবা (আ ক ম বাহাউদ্দীন) কুমিল্লার মানুষের জন্য ভালো কাজ করেছেন। আমিও একটি পরিকল্পিত সুন্দর নগরী করতে চাই। তরুণদের নিয়ে সবুজে ঘেরা একটি স্মার্ট শহর গড়ে তুলব। সুষ্ঠু পরিকল্পনা নিয়ে সুন্দর কুমিল্লা নগরী গড়ে তুলব।’
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে নিজাম উদ্দিন কায়সার বলেন, ‘এই নির্বাচন কমিশনের ওপর আমাদের আস্থা নেই। কিন্তু মানুষের চাপে নির্বাচনে এসেছি। যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।’
মনোনয়নপত্র জমাদানের পর গণমাধ্যমকে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম বলেন, ‘আমি ৪০ বছর ধরে এই শহরে রাজনীতি করছি। এ শহরের ধুলোবালির সাথে আমার বেড়ে ওঠা। এই শহর নেতৃত্বহীন হয়ে আছে। এক জাতীয় দানবীয় শাসন চলছে এই শহরে। শহরের মানুষ এসব থেকে মুক্তি চায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ তিনি এ নির্বাচনে প্রার্থী উন্মুক্ত রেখেছেন। আপনারা দেখেছেন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৬০ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের প্রার্থী একজন নয়, দুইজন। আগামী ৯ মার্চ সুষ্ঠু নির্বাচন হলে কুমিল্লার মানুষ আমাকে অবশ্যই বিজয়ী করবে।’
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে কুমিল্লা সিটিতে দুই লাখ ৪২ হাজার ভোটার রয়েছে।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং অফিসে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ১৩ ফেব্রুয়ারি। রিটার্নিং অফিসে মনোনয়ন বাছাই ১৫ ফেব্রুয়ারি। রিটার্নিং অফিস থেকে বাতিল হওয়া প্রার্থিতার আপিল নিষ্পত্তি করা হবে ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২২ ফেব্রুয়ারি। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ ফেব্রুয়ারি।