নভেম্বর ২৫, ২০২৪

সোমবার ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

কুমিল্লায় দুর্নীতির মামলায় পিয়নের ৩ স্ত্রী কারাগারে, কোটি টাকা অর্থদণ্ড

Judge Court Cumilla
জেলা ও দায়রা জজ আদালত, কুমিল্লা। ছবি: রাইজিং কুমিল্লা

কুমিল্লায় অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পৃথক মামলায় তিতাস গ্যাসের পিয়ন (অফিস সহায়ক) জহিরুল ইসলামের তিন স্ত্রীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রায় এক কোটি টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

গতকাল রোববার (৮জুলাই) এই সাজা দেন কুমিল্লার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বেগম শামসুন্নাহার। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক ফজলুল হক।

দণ্ডাদেশপ্রাপ্তরা হলেন- জহিরুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী সেলিনা আক্তার, দ্বিতীয় স্ত্রী আকলিমা আক্তার ও তৃতীয় স্ত্রী আছমা আক্তার।

তবে মামলার দায় থেকে খালাস পান পিয়ন। রায় ঘোষণার সময় তিন স্ত্রীকে নিয়ে আদালতে উপস্থিত ছিলেন তিনি।

মামলার নথি থেকে জানা গেছে, ‘পিয়ন জহিরুল ইসলাম ও তার তিন স্ত্রীর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি দুদক কুমিল্লা কার্যালয় থেকে ৩টি মামলা করা হয়। মামলার রায়ে পিয়নের স্ত্রী সেলিনা আক্তারকে ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১২ লাখ ১২ হাজার ৩০০ টাকা অর্থদণ্ড, দ্বিতীয় স্ত্রী আকলিমা আক্তারকে ৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩৪ লাখ ৩ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং তৃতীয় স্ত্রী আসমা আক্তারকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫১ লাখ ৯৯ হাজার ৮৩১ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।’

এ বিষয়ে দুদক কুমিল্লা সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক ফজলুল হক জানান, ৩টি মামলায় স্ত্রীদের সঙ্গে জহিরুল ইসলামকেও আসামি করা হয়। আদালতের রায় অনুযায়ী জহিরুল ইসলামের ৩ স্ত্রীর অর্থদণ্ডের মোট ৯৮ লাখ ১৫ হাজার ১৩১ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার রায় দেওয়া হয়। তবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় জহিরুলকে তিনটি মামলা থেকেই খালাস দেওয়া হয়। তার স্ত্রীদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, পিয়ন জহিরুল ইসলাম জহির কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার আনন্দপুর গ্রামের আবদুল গফুর সর্দারের ছেলে। জহিরুল ইসলাম ঢাকায় তিতাস গ্যাস কোম্পানিতে এমএলএসএস (অফিস সহায়ক) পদে কর্মরত। তার চাকরি শুরু হয় তিতাসে মাস্টার রোলে।