অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা প্রবল পানির স্রোতে কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের বুড়বুড়িয়া এলাকায় গোমতী নদীর বাঁধ ভেঙে অন্তত ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টায় এ ঘটনা ঘটে। গোমতী নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ার পর আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন কুমিল্লা শহরে বসবাসকারী মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশরী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জমান বাঁধ ভেঙে গ্রাম প্লাবিত হওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে ওই স্থানের নিচ দিয়ে পানি বের হচ্ছিল। স্থানীয় লোকজন বালুর বস্তা ফেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। কিন্তু রাত পৌণে ১২টার দিকে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকতে থাকে।
বাঁধ ভেঙ্গে বুড়বুড়িয়া, খাড়াতাইয়া, নানুয়ারবাজার, কিং বাজেহুরা, মিথিলাপুর, শিকারপুর, মহিষমারা, ইছাপুরা, পয়াত, গাজীপুর, কন্ঠনগর, মাওরা, গোপীনাথপুর,জগৎপুর ও গোসাইপুর গ্রাম প্লাবিত হয়।
এদিকে বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। তাদের আশঙ্কা, গোমতীর বাঁধ ভাঙায় তলিয়ে যেতে পারে গোটা শহর।
অন্যদিকে এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাহিদা আক্তার জানান, ‘বাঁধ ভেঙে যাওয়ার শঙ্কায় গতকাল সন্ধ্যা থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে এলাকায় এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে নানুয়ার বাজার গ্রামের গৃহবধূ আইরিন আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার ১২ বছরের সাজানো সংসার ছিলো। বন্যার পানি সব নিয়ে গেল।’
এর আগে, গত বুধবার রাত থেকেই বিভিন্ন এলাকায় গোমতী বাঁধ ভাঙার খবরে দিশেহারা পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিভিন্ন এলাকা বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে এমন খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আতঙ্ক ছড়ায় কুমিল্লাবাসীর মাঝে।