দেশের সরকারি চাকরিতে কোটা বৈষম্য নিরসনের প্রতিবাদে সারা দেশে চলছে শিক্ষার্থীদের চলছে আন্দোলন। এরই অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যম রাষ্ট্রপ্রতি বরাবর স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ১২টা ৪৫ মিনিটে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমানের অনুপস্থিতিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া এই স্মারকলিপি দেন।
স্মারকলিপি দিয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সমন্বয়ক সাকিব হোসেন রাইজিং কুমিল্লাকে জানান, ‘কোটাকে সংস্কারের মাধ্যমে সংবিধানে সুবিধাবঞ্চিতদের পক্ষে ন্যূনতম কোটা রেখে বাকি সব কোটা বাতিল করে সংসদে আইন পাশের জন্য রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি।’
কুমিল্লা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থী এবং তাঁদের প্রতিনিধিরা আমাদের কাছে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন। জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি আমি গ্রহণ করেছি। যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা এটা পৌঁছে দেব।’
এর আগে রবিবার (১৪ জুলাই) সকালে কুমিল্লা নগরীর পূবালী চত্বরে কোটা আন্দোলনকারীদের গণপদযাত্রা ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচির স্থান বদল করা হয়। কান্দিরপাড় পূবালী চত্বরে কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগ ‘শান্তি সমাবেশ’ করবে বলে ঘোষণা দেয়। এর পরিবর্তে পুলিশ লাইনস এলাকায় কর্মসূচি পান করেন কোটা আন্দোলনকারীরা।
কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বেলা ১১টার দিকে পুলিশ লাইনস এলাকায় কর্মসূচি শুরু করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে অংশ গ্রহন করেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ, কুমিল্লা সরকারি কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হাজারও শিক্ষার্থী।
এ সময় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, তাদের মাথায় বাংলাদেশের পতাকা, হাতে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানার দেখা গেছে। তাদের বিভিন্ন ধরনের স্লোগানও দিতে শোনা যায়। পরে সবাই জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের দিকে রওনা হন। সেখানে একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।