আগামীকাল ২ অক্টোবর মহালয়ার মধ্যে দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের আমেজ শুরু হবে। এরই অংশ হিসেবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে সাড়ম্বরে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠানের সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। পূজা মন্ডপগুলোকে সাজসজ্জা লাইটিং এবং পূজার আয়োজনে পূজারীবৃন্দ ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কুমিল্লা জেলা শাখা সূত্রে জানা গেছে, এবার কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে মহানগর এবং কুমিল্লার ১৭টি উপজেলায় ৭৭৭টি পূজামন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক পিন্কু পাল জানান, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে উৎসব মুখর পরিবেশে সুষ্ঠুভাবে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা মহানগর এবং জেলার ১৭টি উপজেলায় ৭৭৭টি পূজামন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে, কুমিল্লা মহানগরীতে ৬৮টি পূজা মন্ডপ রয়েছে, আদর্শ সদর উপজেলায় পূজা মন্ডপ রয়েছে ২৬টি, সদর দক্ষিণ উপজেলায় ৩০টি, চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় ২২টি, বুড়িচং উপজেলায় ৩৬টি, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় ১৩টি, চান্দিনা উপজেলায় ৬৫টি, দেবিদ্বার উপজেলায় ৯৫টি, দাউদকান্দি উপজেলায় ৪০টি, লালমাই উপজেলা ১৮টি, বরুড়া উপজেলায় ৯১টি, লাকসাম উপজেলায় ৩৫টি, মনোহরগঞ্জ উপজেলায় ১২টি, নাঙ্গলকোট উপজেলায় ১১টি, তিতাস উপজেলায় ১৩টি এবং হোমনা উপজেলায় ৪৯টি।
এর আগে ২৩ সেপ্টেম্বর ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম বলেছেন, আসন্ন দুর্গাপূজায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। পূজামন্ডপের নিরাপত্তায় পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক থেকে দায়িত্ব পালন করবে।
এছাড়া জরুরি প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ অথবা নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করার জন্য পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের প্রতি অনুরোধ জানান আইজিপি।
উ্ল্লেখ্য, এবার দেশের ৩২ হাজার ৬৬৬টি মন্ডপে উদযাপিত হবে শারদীয় দুর্গাপূজা। দুর্গাপূজা চলাকালে পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশের পাশাপাশি সোয়াট, ক্রাইসিস রেসপন্স টিম, কুইক রেসপন্স টিম, ক্রাইম সিন ভ্যান ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে। দুর্গাপূজা উপলক্ষে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এবং অন্যান্য পুলিশ ইউনিটে মনিটরিং সেল চালু থাকবে।