মার্চ ১৯, ২০২৫

বুধবার ১৯ মার্চ, ২০২৫

কুমিল্লায় এনজিওর পুরুষ কর্মীকে বেঁধে নারী কর্মীর নগ্ন ভিডিও ধারণ

Rising Cumilla - Forest
প্রতীকি ছবি/সংগৃহীত

কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) দুই কর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। নির্জন বাগানে নিয়ে পুরুষ কর্মীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নারী কর্মীকে নগ্ন করে শারীরিক ও যৌন নির্যাতন করা হয়। মোবাইল ফোনে ধারণ করা নগ্ন ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করে অভিযুক্তরা। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) চারজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেছেন ওই ভুক্তভোগী পুরুষ কর্মী তারেক রহমান।

এর আগে চান্দিনা পৌরসভার তুলাতলী দক্ষিণপাড়া দিঘির পাড়ের একটি বাগানে সোমবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত এই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একটি এনজিওর চান্দিনা শাখায় কর্মরত এক পুরুষ ও এক নারী কর্মী তুলাতলি গ্রামে ঋণের কিস্তি আদায় করতে সন্ধ্যা গড়িয়ে যায়।

এ সময় কয়েকজন যুবক তাদের আটক করে তুলাতলী গ্রামের শেষে এতবারপুর মালিবাড়িসংলগ্ন একটি মৎস্য প্রজেক্টের পাড়ে নিয়ে তাদের আদায় করা কিস্তির টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় স্থানীয় রুহুল আমিন নামে এক লোক দেখে ফেলায় সেখান থেকে হাত ও চোখ বেঁধে তাদের তুলাতলি দক্ষিণপাড়া দীঘির পাড়ে নিয়ে আটক করে।

এ সময় পুরুষ কর্মীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে এবং বৈদ্যুতিক শক দেয়। নারী কর্মীকে নগ্ন করে লাঞ্ছিত করে এবং মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে। ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আবার চাঁদা দাবি করে।

এ সময় ওই নারী তার বোনকে ফোন করে এবং নির্যাতনকারীদের বিকাশ নম্বরে ২০ হাজার টাকা পাঠায়। ওই টাকা পাওয়ার পরও নারীকে শারীরিক নির্যাতন করা শুরু করে। একপর্যায়ে গ্রামের লোকজন টের পেয়ে ডাকাত বলে ধাওয়া করলে নির্যাতনকারীরা পালিয়ে যায়।

এনজিওর ঋণ আদায়কারী তারেক রহমান জানান, আমরা কিস্তির টাকা আদায় শেষে ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে। আমাদের বাগানে নিয়ে আমাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে এবং বৈদ্যুতিক শক দেয়। আর নারী কর্মীকে নগ্ন করে শারীরিক যৌন নির্যাতন করে। তারা নারীকে পুরো নগ্ন করে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে ২ লাখ টাকা দাবি করে। বিকাশে ২০ হাজার টাকা এনে দেই কিন্তু তারা বাকি টাকা পেলে ভিডিও ডিলিট করবে বলে জানায়।

তিনি বলেন, ২০ হাজার টাকা নেওয়ার পরও তারা নারীর ওপর অত্যাচার শুরু করে। গ্রামবাসী টের পেয়ে ধাওয়া করে এবং আমাদের উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ আমাদের উদ্ধার করে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়।

এ বিষয়ে চান্দিনা থানার ওসি নাজমুল হুদা জানান, হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে আমরা তাদের থানায় এনে বিস্তারিত শুনে মামলা নেই। আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।