
অফিসের ক্লান্তি নিয়ে ঘরে ফিরে, মেঝেতে ধুলো, ছড়ানো কাপড়, নোংরা বাসনকোসন দেখে হতাশ হননি তো? আজকের দিনটি আপনার জন্য বিশেষ, কারণ আজ ‘ঘরের কাজ না করা’ দিবস!
গৃহকর্ম সত্যিই খুব পরিশ্রমের ব্যাপার। বিরল প্রজাতির কেউ কেউ অবশ্য আছেন, তাঁরা সব সময় ঘরের কাজ করতে পছন্দ করেন। কিন্তু তাদের সংখ্যা খুবই অল্প। বেশির ভাগ মানুষই ঘরের কাজ করতে করতে হাঁপিয়ে ওঠেন, একঘেয়েমিতে ভোগেন। উপরন্তু এ কাজের নেই কোনো স্বীকৃতি। আমাদের মা–বোন–স্ত্রীরা সারাজীবন ঘরের কাজ করে গেছেন, কিন্তু কখনো এ কাজের স্বীকৃতি পাননি। কখনো দু বাক্য প্রশংসা জোটেনি তাঁদের কপালে।
আধুনিক এই সময়ে ঘর–গৃহস্থালির কাজ সহজ করার জন্য অনেক যন্ত্রপাতির উদ্ভব হয়েছে অবশ্য। ভ্যাকুয়াম ক্লিনার, ওয়াশিং মেশিন, থালা–বাসন পরিষ্কার করার জন্য নানা ধরনের ডিরাটজেন্ট ইত্যাদি পাওয়া যায়। কিন্তু তারপরও, কাজগুলো তো করতে হয়!
একবার কল্পনা করে দেখুন, ৩০–৪০ বছর আগের কথা। মাঝের কার্পেটের ধুলো পরিষ্কার করার জন্য রোদের নিচে ঝুলিয়ে দিয়ে লাঠি দিয়ে পেটাতে হতো। ঘর পরিষ্কার করার জন্য ভালো ঝাড়ুও ছিল না। কাপড় কাচার জন্য ছিল না ওয়াশিং মেশিন।
প্রতিদিন একগাদা কাপড় কেচে, থালাবাসন পরিষ্কার করে আর ঘরদোর ঝাড়ু দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে যেত মানুষ। প্রাণপনে চাইতো, একটা দিন অন্তত ঘরের কাজ থেকে ছুটি দরকার।
সেই ভাবনা থেকেই একদিন ঘরের কাজকে ছুটি দেওয়ার কথা চিন্তা করেন মার্কিনীরা। আজ ৭ এপ্রিল, ‘ঘরের কাজ না করা’ দিবস।
ইতিহাস:
তবে কবে, কীভাবে এ দিবসটি শুরু হয়েছিল, তার সঠিক ইতিহাস অজানা। তবে, দিবসটি মানুষকে স্বস্তি দিয়েছে, তাতে কোন সন্দেহ নেই।
তথ্যসূত্র: ডেজ অব দ্য ইয়ার