বুধবার ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

এ জেলার সন্তান হিসেবে কুমিল্লার উন্নয়ন করার উদ্দেশ্যেই এখানে এসেছি: কুসিক নতুন প্রশাসক

নিজস্ব প্রতিবেদক

As a son of this district, I came here with the intention of developing Comilla: Cusick, the new administrator
সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় করেন কুসিক নতুন প্রশাসক মো. শাহ আলম
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের (কুসিক) প্রশাসক মো. শাহ আলম বলেন, “কুমিল্লা একটি ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ নগরী। এই নগরীর যানজটসহ নানান সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে চাই। এ কাজে আপনাদের (সাংবাদিকদের) সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

তিনি আরও বলেন, “কুমিল্লায় পোস্টিং হওয়ায় তার স্ত্রী ও সন্তানরা খুশি নন। কুমিল্লা আসার সময় রাগ করে তারা তার সাথে হাতও মেলাননি। তবে তিনি কুমিল্লা জেলার সন্তান হিসেবে কুমিল্লার উন্নয়ন করার উদ্দেশ্য নিয়েই এখানে এসেছেন।”

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের (কুসিক) পূর্ণকালীন নতুন প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর কুমিল্লায় কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

কুমিল্লা শহরের সমস্যা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, টমছমব্রিজের বাজার পরিদর্শন করতে গিয়ে তিনি দেখেন যে সিটি করপোরেশনের লোকেরাই অবৈধ দখলের সাথে জড়িত। এছাড়া প্লান পাসের বিষয়ে তিনি বলেন, কুমিল্লা সিটির প্লান পাসের ক্ষেত্রে অতীতে যদি কোনো অনিয়ম হয়ে থাকে, তবে তা তদন্ত করে বিচারের আওতায় আনা হবে।

মতবিনিময় সভায় কুমিল্লার বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তারা নতুন প্রশাসককে স্বাগত জানান এবং নগরীর সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে মতামত ও পরামর্শ দেন।

প্রশাসক মো. শাহ আলম বলেন, “স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও জনসেবার মান নিশ্চিত করাই আমার মূল লক্ষ্য। সবাই মিলে কাজ করলে কুমিল্লাকে একটি আধুনিক, পরিবেশবান্ধব ও বাসযোগ্য শহর হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব।”

সভা শেষে তিনি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যানজট নিরসনের সম্ভাব্য উদ্যোগ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন এবং অচিরেই একটি বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা গ্রহণের আশ্বাস দেন।

উল্লেখ্য, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের নতুন প্রশাসক মো. শাহ আলম কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলার গালিমপুর ইউনিয়নের জোড়পুকুরিয়া গ্রামে ১৯৭০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বরুড়া হাজী নোয়াব আলী হাই স্কুল থেকে ১৯৮৬ সালে এসএসসি এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে ১৯৮৮ সালে এইচএসসি পাস করেন।

এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। কর্মজীবনে তিনি দিল্লীতে চ্যান্সেলর কর্তৃক স্বর্ণপদক লাভ করেন। এছাড়াও তিনি লন্ডন থেকে ডিপ্লোমা ও এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

১৮তম বিসিএস পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধা তালিকায় ৫ম এবং প্রশাসন ক্যাডারে ৩য় স্থান অধিকার করে তিনি ১৯৯৯ সালে সহকারী কমিশনার ও ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।

পরবর্তীতে তিনি ভোলা, কক্সবাজার ও নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ইউএনও, অর্থ বিভাগের উপসচিব, উপপরিচালক ও বিডা পরিচালকসহ সর্বশেষ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের যুগ্ম সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

আরও পড়ুন