
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকীর জাতীয় অনুষ্ঠান এবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার দৌলতপুরে। কবির স্মৃতিবিজড়িত এই গ্রামে আগামী ২৫ মে শুরু হবে তিন দিনব্যাপী জমকালো আয়োজন।
গতকাল মঙ্গলবার (৬ মে) কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক প্রস্তুতি সভায় এই তথ্য জানানো হয়। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন কুমিল্লার সংস্কৃতি কর্মীরা।
সভায় জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার জানান, এবারের নজরুল জন্মবার্ষিকীর মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘দুহাজার চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান: কাজী নজরুলের উত্তারাধিকার’।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে স্মারক বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রখ্যাত অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান। এছাড়াও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পরিবেশন করবে মনোজ্ঞ ৩০ মিনিটের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এই বছর স্মরণিকা হিসেবে ৬০০ কপি এবং ২০ হাজার পোস্টার প্রকাশ করা হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শুধু দৌলতপুরই নয়, জাতীয় কবির স্মৃতিবিজড়িত অন্যান্য স্থান যেমন ময়মনসিংহের ত্রিশাল, মানিকগঞ্জের তেওতা, চুয়াডাঙার কার্পাসডাঙা এবং চট্টগ্রামে স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে নজরুল মেলা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও, দেশব্যাপী সকল জেলাতেই যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হবে নজরুলের জন্মজয়ন্তী।
উল্লেখ্য, দৌলতপুর কাজী নজরুল ইসলামের জীবনে এক বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে। এখানেই কবির বন্ধু আলী আকবর খাঁর সাথে তার প্রথম আগমন ঘটে। এই দৌলতপুরেই আলী আকবর খাঁর ভাগ্নী সৈয়দা নার্গিস আশা খানের সাথে কবির গভীর প্রেম হয় এবং পরবর্তীতে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। নার্গিসকে নিয়ে নজরুল রচনা করেছেন বহু কালজয়ী কবিতা। দৌলতপুরের খাঁ বাড়ির পুকুরে সাঁতার কাটার স্মৃতি আজও সেখানকার মানুষের মুখে মুখে ফেরে।