
দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পরে আসলে এক আনন্দের ছোঁয়া ঈদ। ঈদের দিন কে ঘিরে আমাদের সকলের কত কল্পনা, আনন্দ বিলানোর স্মৃতি থাকে। আর সেই ঈদের আনন্দ ব্যাক্তি কেন্দ্রিক নয়, ধনী গরিব সবার মাঝে সুখ-দুঃখ শেয়ার করার মধ্যেই নিহিত রয়েছে ঈদ- উৎসবের বৈশিষ্ট্য।
রমজান শেষ হওয়ার তিন থেকে চার দিন আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় ঈদের প্রস্তুতি। আর ঈদের কেনাকাটা তো শুরু হয়ে যায় রমজানের প্রথম থেকেই। হাজারো রঙিন সামগ্রী থেকে নিজের ও পরিবারের জন্য বেছে নিতে হবে সেরাটা। ঈদের দিন সকাল হতেই ঈদ এর নামাজ, নতুন জামা পরিধান, একে অন্যের সাথে খুশি ভাগাভাগি, সালামি আদায় করা, বিকেলে সকলের সাথে একত্রে ঘুরতে যাওয়া এ যেন এক অন্য রকম আমেজ।
ঈদের কিছুদিন পূর্বে দূরপ্রান্তে ফেলে আসা প্রাণের মানুষগুলোর জন্য ফিরে যাওয়া প্রাণের মানুষগুলোর কাছে এক দায়বদ্ধতা, যার প্রাপ্তি বাড়ি ফিরে তাদের সাথে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত। সারাবছর দূরে থাকার ফলে জমা হওয়া গ্লানি ভুলে এক নতুন সময়ের সূচনা হয় এই ঈদ এর মাধ্যমে। দূরের বন্ধু বান্ধব একসঙ্গে নামাজ পড়ে কোলাকুলি করা সহ এক আমেজে ভরে উঠে ঈদের আনন্দ। ঈদ মানে আনন্দ আর এ আনন্দ হওয়া উচিত সকলের।

ঈদের অন্যতম অনুষঙ্গ সাদাকাতুল ফিতর, যা দরিদ্রদের ঈদের আনন্দে শামিল হওয়ার সুযোগ দেয়। ছোটদের ঈদি দেওয়ার রীতি ঈদকে আরও আনন্দময় করে তোলে। ঈদের প্রকৃত সৌন্দর্য তখনই প্রকাশ পায়, যখন এই আনন্দ সবার মাঝে সমভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হয়, সম্প্রীতি ও মানবতার বার্তা প্রতিষ্ঠিত হয়।
মোঃ মেহরাব হোসেন
লেখক: শিক্ষার্থী, আইন বিভাগ, সিসিএন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি।