নভেম্বর ২৬, ২০২৪

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

ঈদের চাহিদা মেটাতে কুমিল্লায় ব্যস্ততা বেড়েছে সেমাই তৈরিতে

কুমিল্লার স্থানীয় সেমাই কারখানাগুলোতে শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা
কুমিল্লার স্থানীয় সেমাই কারখানাগুলোতে শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা। ছবি: সংগৃহীত

ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে কুমিল্লার সেমাই কারখানাগুলোতে এখন ব্যস্ততা চরমে। শ্রমিকরা দিনরাত কাজ করে সেমাই তৈরি, রোদে শুকানো এবং বাজারে সরবরাহ করছেন। কুমিল্লার সাদা সেমাইয়ের ব্যাপক চাহিদা থাকায় জেলার বাইরেও পাঠানো হচ্ছে এটি।

জানা গেছে, কুমিল্লা বিসিকের পাঁচটি কারখানায় সেমাই উৎপাদন করা হয়। সেগুলো হচ্ছে, কুমিল্লা ফ্লাওয়ার মিল, মেট্রো কনফেকশনারী, খন্দকার ফুড, রিয়াজ ফ্লাওয়ার মিল ও মক্কা কনজুমার এন্ড ফুড প্রোডাক্টস। বিসিক ছাড়া কুমিল্লা আদর্শ সদর ও বিভিন্ন উপজেলায় সেমাই উৎপাদন করা হচ্ছে। কারখানা গুলোতে বাংলা ও লাচ্ছা নামের দুই ধরনের সেমাই তৈরি করা হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, কুমিল্লা বিসিকের কুমিল্লা ফ্লাওয়ার মিল কারখানায় মেশিনে বাংলা সেমাই উৎপাদন করা হচ্ছে। সেই সেমাই ছাদে ঝুলিয়ে শুকানো হচ্ছে। তারপর প্যাকেটজাত করছেন শ্রমিকরা। এদিকে লাচ্ছা সেমাই তেলে ভাজা হচ্ছে। ভাজা সেমাই প্যাকেটজাত করেন শ্রমিকরা।

এদিকে লাচ্ছা সেমাই তেলে ভাজা হয়। ভাজা সেমাই প্যাকেটজাত করেন শ্রমিকরা। ঈদের আরো ১৬/১৭ দিন বাকী। তাই দ্রুত সেমাই গাড়ি যোগে বাজারে পৌঁছে দিচ্ছেন কারখানার মালিকরা।

কারখানার মালিকরা বলছেন, ঈদের মৌসুমে সেমাইয়ের চাহিদা বেড়ে যায়। তাই এখন থেকেই সেমাই তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।

কুমিল্লা ফ্লাওয়ার মিলের ব্যবস্থাপক সৈয়দ গোলাম কাদের বলেন, “আমরা ১২ বছর ধরে মান সম্মত উপায়ে সেমাই তৈরি করি। ঈদের মৌসুমে বেশি সেমাই উৎপাদন হয়। উৎপাদিত সেমাইয়ের নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে। তা কয়েক মাস বিক্রি করা যায়।”

তিনি আরো বলেন, “আমাদের সেমাই বৃহত্তর কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলে বেশি বিক্রি হয়ে। বাংলা সেমাই চরাঞ্চলে বেশি বিক্রি হয়। বাংলা সেমাই আল-নূর ও কুলসুম নামে ও লাচ্ছা সেমাই তানিন নামে বাজারজাত করি।”

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করর্পোরেশন (বিসিক) কুমিল্লার ডিজিএম মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “কুমিল্লা বিসিকে উৎপাদিত সেমাই মান সম্মত। সেমাই উৎপাদনে যেন মান রক্ষা করা হয় সেজন্য আমরা নিয়মিত কারখানা পরিদর্শন করি।”