রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) নারী শিক্ষার্থীকে ইভটিজিং করাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়ায় স্থানীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। এতে ৪ জন শিক্ষার্থী আহত হন।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে মূল ফটকের সামনে সাঈদ চত্বর মসজিদের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে মারধর করেন স্থানীরা কয়েকজন।
হামলাকারী কয়েকজন হচ্ছে সামির, মিজান, বাবু ও নয়ন বলে জানা গেছে। আহত ওই দুই শিক্ষার্থী হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং মোস্তফা ভূঁইয়া।
পরে তাদের দুই জুনিয়র ঘটনাস্থলে গেলে পুনরায় স্থানীয়দের দ্বারা মারধরের শিকার হন একই বিভাগের ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হাজিম উল হক ও দীপ্ত তালুকদার।
পরবর্তী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তাবিউর রহমান প্রধান ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে শিক্ষার্থীদের মিমাংসা করিয়ে দেন। কিন্তু স্থানীয়রা পুনরায় মারমুখী হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবু সাঈদ সংলগ্ন গেটের সামনে কুড়িগ্রাম-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা স্থানীয় দুইজনকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের নিকট সোপর্দ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত শিক্ষার্থীরা বলেন, মূল ফটকের সামনে এক নারী শিক্ষার্থীকে কুরুচিপূর্ণ শব্দ ব্যবহার করায় তাদের দিকে ফিরে তাকায় সহপাঠী আব্দুল্লাহ। ফিরে তাকানোকে কেন্দ্র করে সেসময় ওই শিক্ষার্থীর দিকে তেড়ে যান ওই স্থানীয়রা।
এ সময় বাকবিতন্ডায় হলে পরবর্তীতে সাঈদ চত্ত্বর মসজিদের সামনে গেলে দুই শিক্ষার্থীকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন স্থানীয়রা। পরে আবার তাদের জুনিয়ররা ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয়রা লাঠিসোটা, বাঁশ দিয়ে আঘাত করে। পরে শিক্ষার্থীরা রাস্তা ব্লকেড করে এবং দুইজন স্থানীয়কে আটক করে প্রক্টরকে সোপর্দ করেন।
তবে জানা যায়, আটককৃত ওই দুইজনের সাথে ঘটনার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড.ফেরদৌস রহমান বলেন, হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনতে আইনই প্রক্রিয়া চলছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.শওকাত আলী বলেন, তোমরা সুষ্ঠু বিচার পাবে। আইন নিজের হাতে তুলে নিও না। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ধরণের আর কোনো ঘটনা হতে দেওয়া হবে না।