
ব্রাহ্মণবাড়িযার নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রের স্ব্যাস্থ সহকারি পারভিন বেগম ও বিপাশা আক্তারের ব্যক্তিগত কাজে সহায়তা করলে মিলে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ।
জানা যায়, কেউ পারভীন বেগম ও বিপাশা আক্তারের কাছে চিকিৎসা সেবা নিতে গেলে ঘর-ধুরের কাজ, রান্নার কাজ ও হাঁস-মুরগি কাটাকুটি করে দিলে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ দেন স্ব্যাস্থ সহকারিগন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সেবাকালিন সময়ে বন্ধ সেবা কেন্দ্র, মূল ফটকের সামনে মানুষ ঘুমিয়ে আছে একজন। জানালা ভাঙ্গাচুরা ও অরক্ষিত।
স্থানিয় বাসিন্দা জলেখা বেগম জানান, সরহার হাসপাতাল দিছে চিকিৎসা নেওনের লাগি আর এনের ডাক্তর আফাডি আমডার লগে করতাছে আলামত, আমডা কার কাছে যামু আফনেরা কইয়া যান। আফনেরা সরহাররে কন তাগদা ইডাত ঔষধ দেওয়া শুরু করনের লাগি। আমডা গাই গিরস্তি করি অত বড়লোক না।
অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা জানতে চাইলে স্ব্যাস্থ সহকারি বিপাশা জানান, ঔষধ সংকট ও ভবনটির কাজ চলমান থাকায় তারা ভেতরে বসতে পারেন না।
এছাড়া চিকিৎসা সেবার বিনিময়ে হাঁস মুরগি কাটানোর বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন।
পারভিন বেগম স্ব্যাস্থ কমপ্লেক্সে উপস্থিত না থাকলে তাকে মোবাইলে ফোন দিলে তিনি জানান, নবীনগরে সরকারি ট্রেনিংয়ে আছেন। নবীনগর কোথায় ট্রেনিং করছেন জানতে চাইলে তাৎক্ষণিক তিনি বলেন, আমি একটি বাড়িতে অবস্থান করছি মহিলা ডেলিভারি করার জন্য।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার জাহিদুল ইসলামের সাথে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি গ্রহণ করা হবে।