নিম্নচাপের রেশ কাটতে না কাটতেই কার্তিকের শুরুতে বঙ্গোপসাগরে ফের একটি লঘুচাপ তৈরির আভাস মিলেছে। যা আগামী কয়েক দিনে লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। যদি পূর্বাভাস অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হয়, তাহলে নাম হবে ‘ডানা’। এটি কাতারের দেওয়া নাম।
আবহাওয়া সংস্থার সতর্কবার্তা অনুসারে, আগামী সোমবার কিংবা মঙ্গলবারের দিকে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপটি সৃষ্টি হতে পারে। তা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবরের মধ্যে উপকূলে আঘাত করার শঙ্কা রয়েছে। তবে বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হলে কোন উপকূলে আঘাত হানতে পারে, সে ব্যাপারেও পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে, ঝড়টি পশ্চিমবঙ্গ ও খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে এমন তথ্য দিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল।
কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশগণমাধ্যমকে বলেন, ২৪ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবরের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিমবঙ্গ ও খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতি থেকে কৃষককে রক্ষা করতে আগে থেকেই সরকারকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে বলেন, এখন পর্যন্ত যেটা দেখতে পাচ্ছি, ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের উড়িষ্যা বা পশ্চিমবঙ্গের দিকে আঘাত হানতে পারে। তবে গতিপথ পরিবর্তন করে বাংলাদেশেও আঘাত হানার শঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। গতিপ্রকৃতি দেখে কখন কোথায় আঘাত হানতে পারে, সে পূর্বাভাস দেবে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
তিনি বলেন, বৃষ্টিপাত আজ শনিবারও অব্যাহত থাকতে পারে। এর পর ২-৩ দিন বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তার পর লঘুচাপের প্রভাবে আবারও বৃষ্টি হতে পারে। সব শেষ ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ বাংলাদেশ উপকূল ও পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানে।
অন্যদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিত অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মধ্য বঙ্গোপসাগরে ২২ অক্টোবরের মধ্যে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর প্রভাবে আজ শনিবার খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু্ই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।