কুমিল্লার লালমাই উপজেলার মধ্যম ছিলোনিয়া গ্রামে সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় সুমাইয়া আক্তার রিয়া (১৫) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত সুমাইয়া উপজেলার হরিশ্চর ইউনিয়ন হাই স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার কথা ছিল।
পুলিশ ও স্বজনরা জানান, সুমাইয়ার বাবা হিরন মিয়া ও মা রিনা বেগম অন্যত্র বিয়ে করায় সে শিশুকাল থেকেই নানার বাড়িতে বসবাস করত। দুই বছর আগে তার বিয়ে হয়। সোমবার রাত ১০টার দিকে সে নানার বাড়ির রান্নাঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
হরিশ্চর ইউনিয়ন হাই স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক ইলিয়াছ কাঞ্চন বলেন, সুমাইয়া আক্তার রিয়া আমাদের বিদ্যালয় থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার কথা ছিল। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের সে একজন মেধাবী শিক্ষার্থী। সোমবার সকালে স্কুল থেকে সে এডমিট কার্ড নিয়ে গেছে। তার অপমৃত্যুতে আমরা শোকাহত।
নিহতের নানি আমেনা বেগম বলেন, “আমি চার দুয়ার থেকে টাকা পয়সা এনে নাতিনরে লেখাপড়া করাইছি। বিয়ে দিছি। নাতিন আমারে একা করে চলে গেছে।”
রিয়ার দেবর শাহরিয়ার বলেন, “ভাবী গত শুক্রবারও আমাদের বাড়িতে গিয়েছিল। এসএসসি পরীক্ষার্থী হিসেবে ভাই ভাবীকে ৫ হাজার টাকা সেলামি দিয়েছে।”
লালমাই থানার উপ-পরিদর্শক আশরাফ হোসেন বলেন, “মেয়েটি নানার বাড়িতে বসবাস করত। সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় নানার বাড়ির রান্নাঘর থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন থাকার তথ্য পাওয়া যায়নি।”
লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতের নানা আবদুল খালেক বাদি হয়ে থানায় অপমৃত্যুর মামলা রুজু করেছেন।