
২০২৪ সালের আয়-ব্যয় ও উদ্বৃত্তের হিসাব নিয়ে অডিট রিপোর্ট নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে দিয়ে গণঅধিকার পরিষদ। এতে ৪৬ লাখের বেশি আয় এবং ৪৫ লাখের বেশি ব্যয় হয়েছে বলে জানানো হয়।
আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিনের সাথে বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে গণঅধিকার পরিষদের ২০২৪ অর্থবছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেওয়া হয়।
পরে রাশেদ খাঁন সাংবাদিকদের জানান, ২০২৪ সালে গণঅধিকার পরিষদের আয় হয়েছে ৪৬ লাখ ৪ হাজার ৩০০ টাকা। আর ব্যয় হয়েছে ৪৫ লাখ ৯৬ হাজার ৮৮ টাকা। গত বছরের প্রারম্ভিক জমা ছিল ৫ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে উদ্বৃত্ত আছে ১৩ হাজার ২১২ টাকা।
দলটির সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, বাংলাদেশের বিগত তিনটি নির্বাচন জাতির জন্য লজ্জাজনক ছিল। এখন সরকারের দায়িত্ব জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের নিবন্ধন স্থগিত করা। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হলেও দলটির দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের বিষয়ে সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ কালে রাশেদ খান আরও বলেন, আওয়ামী লীগের সহযোগী জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের নিবন্ধন স্থগিতের দাবিতে এর আগে আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত আবেদন দিয়েছিলাম। এ বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে, আজকের বৈঠকে আমরা কা জানতে চেয়েছি। সিইসি আমাদের বলেছেন, এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের করণীয় নেই। তবে সরকার যেভাবে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে, একইভাবে যদি জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলীয় জোটভুক্ত অন্যান্য দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে, তাহলে এর পরিপ্রেক্ষিতে ইসির পক্ষ থেকে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
আওয়ামী লীগের মতো জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলীয় জোটভুক্ত অন্যান্য দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে শিগগিরই প্রধান উপদেষ্টার বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলে জানান মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন।