একদিকে মূল্যস্ফীতির চাপে সাধারণ মানুষ যখন হিমশিম খাচ্ছে, অপরদিকে তামাকজাত পণ্য বিক্রি বেড়েছে হু হু করে। দেশের বাজারে সিগারেট বিক্রি করে রেকর্ড আয় ও মুনাফা করেছে তামাক পণ্য বাজারজাতকারী বহুজাতিক ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিএটিবি)।
সোমবার (২৪ জুলাই) বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে দেওয়া এক নির্দেশনয় “বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচ্ছন্ন নোট নীতিমালা” অনুমোদনের কথা জানানো হয়।
এতে দেখা যায়, বছরের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি–জুন) কোম্পানিটি ২১ হাজার ২৩০ কোটি টাকার রেকর্ড সিগারেট ও তামাকজাত পণ্য বিক্রি করেছে। আর এ বিক্রির বিপরীতে সব খরচ ও কর বাদ দেওয়ার পর কোম্পানিটি মুনাফা করেছে ৯৫০ কোটি টাকা। মুনাফার ক্ষেত্রেও কোম্পানিটি রেকর্ড করেছে।
দেশের বাজারে বিএটিবি বেনসন, গোল্ডলিফ, ডার্বি, হলিউড, স্টার, ক্যাপসটেন, পাইলটসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিগারেট বিক্রি করে।
বাংলাদেশে বর্তমানে কোম্পানির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ করহার তামাকজাত পণ্য উৎপাদনকারী কোম্পানির। এ করহার ৪৫ শতাংশ। তার সঙ্গে আছে আড়াই শতাংশ সারচার্জ। এর বাইরে অন্যান্য শুল্ক ও ভ্যাট বা মূল্য সংযোজন করও রয়েছে। কিন্তু বছর বছর কর বাড়িয়েও সিগারেটের বিক্রি কমানো যাচ্ছে না।
বিএটিবির প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসে কোম্পানিটি ৩ হাজার ৯১১ কোটি পিস সিগারেট বিক্রি করেছে। গত বছরের একই সময়ে কোম্পানিটি বিক্রি করেছিল ৩ হাজার ৫৩৯ কোটি পিস সিগারেট। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির ৩৭২ কোটি পিস সিগারেট বিক্রি বেড়েছে।
এই বছরের প্রথম ছয় মাসে কোম্পানিটি যে ব্যবসা ও মুনাফা করেছে, তা গত ১৩ বছরে একই সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ।