বাংলা গানের যুবরাজ আসিফ আকবর ফের স্টেজ শো’তে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন।
সম্প্রতি নিজের ফেসবুক পেইজে এক স্ট্যাটাসে এই ঘোষণা দিয়েছেন এ সংগীতশিল্পী। নিজের ৫২ বছর বয়সেও সকলের জন্য উদাহরণ সৃষ্টি করতে চান তিনি।
স্ট্যাটাসে আসিফ লিখেছেন, ‘সেই ২০১০ সাল থেকে ২০১৪ পর্যন্ত বিরতি, তারপর বাংলাদেশের কাছাকাছি দেশগুলোর বাইরে আর শো করিনি, নানান কারণে করা হয়ে ওঠেনি। সবাই গাইতে যায় সারা দুনিয়ায়, ফেসবুকে দেখে খুব ভালো লাগে। ২০২৩ সালটাকে আমার মনে হয়েছে কামব্যাক করার একটা পারফেক্ট বছর। বুদ্ধিমানেরা বিকল্প খুঁজে নেয়। রাজনৈতিক বিভাজনের বিষবাষ্প থেকে বেরিয়ে এসে সারা দেশে শুরু হলো স্কুল-কলেজের বন্ধুদের রি-ইউনিয়ন। কুমিল্লায় ৯০ ব্যাচের সদ্যপ্রয়াত ছোট ভাই মাসুদ পারভেজ খান ইমরানের মাধ্যমেই আবার স্টেজ কনসার্টে ফেরা। কিছু কনসার্ট করে মনে হয়েছে এখনো আমাকে দিয়ে স্টেজ প্রোগ্রাম চালানো সম্ভব, নিজের ওপর কনফিডেন্সটা হারিয়ে যায়নি।
সাম্প্রতিক ব্যস্ততা নিয়ে আসিফ আকবর লিখেছেন, ‘দ্য এ টিম’ মেম্বারদের নিয়ে মধ্য আগস্ট থেকে আমাদের ইউরোপ সফরের একটা শো চার্ট প্রায় রেডি হয়ে গেছে। স্পেন, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স হয়ে টরন্টো পর্যন্ত এক মাসের সফর, মাঝখানে আরো কিছু ইউরোপিয়ান দেশও ঢুকে যাবে। সফরগুলো সামনে রেখে নিজেদের শানিয়ে নিচ্ছি। বহু চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আবারো পুরোনো ট্র্যাকে চেপে বসেছি। বায়ান্ন বছর বয়সে এসে কামব্যাক করার একটা উদাহরণ হতে চাই। পেশাদারি জীবনে সব সময় সৎ থেকেছি, সবাইকে হয়তো হ্যাপি রাখতে পারিনি।
কনসার্টে ফেরা নিয়ে আসিফ লিখেছেন, ‘বয়সও হয়েছে, চাইলেই সব প্রোগ্রামে যেতে পারি না, সব ধরনের গানও আগের মতো গাইও না। চাকরি মাধ্যমে নিজেকে যথেষ্ট বিজি রাখতে পেরেছি। সব সময় চেয়েছি অতিরিক্ত কনসার্টের কারণে যেন কণ্ঠ বিদ্রোহ না করে। সবকিছুর জন্যই একটা অধ্যবসায় আছে, থাকে। আমিও নিজের পেশাদারি কাজের প্রতি অনুগত। ৭ জুলাই আমার গানের ক্যারিয়ারের ২৫ বছর পূর্ণ হবে। সঙ্গীত পরিচালক শ্রদ্ধেয় শওকত আলী ইমন ভাইয়ের হাত ধরে প্লে-ব্যাকে এলাম এইতো সেদিন, ব্যাপারটা এমনই লাগে আমার কাছে। করোনার ইফেক্ট আর লিগামেন্ট ইনজুরির কারণে শরীরটা খানিক ইনজামামুল হকের মতো হয়ে গেছে, পূর্বাবস্থায় ফিরে যাওয়ার জন্য ফিটনেস প্রোগ্রাম রেডি করেছি। যতটুকুই উচ্ছৃঙ্খলতা ছিল সেগুলো পরিহার করতে পেরেছি আইদাহ আসিফ রঙ্গনের ঐশ্বরিক প্রভাবে। আবারো নিজের অবস্থান নতুনভাবে জানান দিতে আসছে পুরোনো আসিফ, ইনশাআল্লাহ।’