সহজ চাষ ও লাভজনক হওয়ায় কুমিল্লায় লেটুসপাতা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে জেলায় লেটুসপাতার আবাদ হয়েছে। ফাস্টফুডের খাবারের দোকানগুলোতে লেটুসপাতার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
বুড়িচং উপজেলার গোক্ষর গ্রামের শিক্ষার্থী সৌরভ ভৌমিক এই এলাকায় লেটুস চাষের একজন অগ্রণী। তিনি তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লেটুসপাতা দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজ এলাকায় চাষ শুরু করেন। কৃষি অফিসার বানিন রায় ও উপসহকারী কৃষি অফিসার সুলতানা ইয়াসমিনের পরামর্শে তিনি ডাব বেগুনের জমিতে লেটুসপাতা চাষ করেন।
সৌরভ ভৌমিক বলেন, ৮ শতক জমিতে লেটুস চাষে তার মোট খরচ হয়েছে ১৪ হাজার টাকা। ডাব বেগুন বিক্রি করে তিনি দেড় লাখ টাকার মতো আয় করেন। এরপর লেটুসের চারা লাগিয়ে মাত্র ২ হাজার টাকা খরচে ৩০ হাজার টাকার লেটুস বিক্রি করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী বছর আরও বড় পরিসরে লেটুসের চাষ করবেন। স্থানীয় ময়নামতি, নিমসার বাজারে পাইকারি ১০০ টাকা কেজি বিক্রি করেন। এগুলো খুচরা ৩০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়। তার লেটুসের চাষ দেখে অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন। চাইনিজ খাবার, বার্গার ও সালাদে লেটুসের ব্যবহার রয়েছে।’
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার বানিন রায় জানান, ‘লেটুস ও ক্যাপসিক্যাপ এ এলাকার অপ্রচলিত ফসল হলেও বাজারে এদের চাহিদা ও দাম বেশি। বেগুন ও মরিচের জমিতে এসব সবজির চাষ করা যেতে পারে। এগুলো কম খরচে কম সময়ে সাথী ফসল হিসেবে উৎপাদন করা যায়।’
এ বিষয়ে হর্টিকালচার সেন্টার কুমিল্লার উপ-পরিচালক আমজাদ হোসেন জানান, ‘এবার তারা আড়াই হাজারের বেশি লেটুসের চারা বিতরণ করেছেন। দিন দিন এ লেটুসপাতার চারার চাহিদা বাড়ছে। লেটুসপাতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও বিটা ক্যারোটিন থাকায় অনেকে সালাদে লেটুসপাতা খেয়ে থাকেন।’