মে ১০, ২০২৫

শনিবার ১০ মে, ২০২৫

১০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পে ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্বাক্ষর

১০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পে ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্বাক্ষর
১০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পে ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্বাক্ষর

বায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে ১০০ মেগাওয়াট পিক ক্ষমতার একটি সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে রবি আজিয়াটা পিএলসি, ফ্লোসোলার সল্যুশনস লিমিটেড, এবং গ্রিনপাওয়ার এশিয়া।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে গঠিত হবে একটি স্পেশাল পারপাস ভেহিকেল, যা সৌর বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট নির্মাণ, পরিচালনা ও অর্থায়নের দায়িত্বে থাকবে।

বুধবার (৭ মে ২০২৫) ঢাকার রবির কর্পোরেট অফিসে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এতে স্বাক্ষর করেন রবির চিফ টেকনোলজি অফিসার পেরিহান এলহামী আহমেদ মেতাওয়েহ, ফ্লোসোলার সল্যুশনস লিমিটেডের এমডি মোস্তফা আজিম কাসেম খান এবং গ্রিনপাওয়ার এশিয়ার প্রেসিডেন্ট পিয়েরিক মোরিয়ে।

এই প্রকল্পের আওতায় রবি একটি কর্পোরেট পাওয়ার পারচেজ এগ্রিমেন্ট  অনুযায়ী তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সৌরবিদ্যুৎ ক্রয় করবে।

সমঝোতা স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে রবি’র ভারপ্রাপ্ত সিইও ও সিএফও রিয়াজ রাশিদ, চিফ কর্পোরেট ও রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম, ফ্রান্স দূতাবাসের হেড অব ইকোনমিক ডিপার্টমেন্ট জুলিয়েন দুয়ে, ফ্লোসোলারের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর তাশফিকুল আলম খানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

এই উদ্যোগটি বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে এক নতুন যুগের সূচনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সরকার প্রস্তাবিত মার্চেন্ট পাওয়ার প্ল্যান্ট নীতিমালা কার্যকর হলে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘমেয়াদি সরকারি চুক্তি ছাড়াই বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ করতে পারবে।

প্রকল্পটি বিল্ড-ওন-অপারেট মডেলে বাস্তবায়ন হবে এবং বছরে আনুমানিক ৬৮,২০০ টন কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে ভূমিকা রাখবে। একইসঙ্গে রবি ২০৫০ সালের মধ্যে শূন্য কার্বন নিঃসরণ অর্জনের লক্ষ্যে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে।

উল্লেখযোগ্যভাবে, এই প্রকল্প ফ্রান্সের ভল্টা গ্রুপের মালিকানাধীন গ্রিনপাওয়ার এশিয়া এবং বাংলাদেশের উদীয়মান নবায়নযোগ্য শক্তি কোম্পানি ফ্লোসোলার সল্যুশনস লিমিটেড-এর যৌথ অংশীদারিত্বে বাস্তবায়িত হচ্ছে।

রবির ১৬,০০০টিরও বেশি বিটিএস সাইটে সৌরশক্তি ব্যবহারের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে যৌথভাবে একটি সমীক্ষা পরিচালনার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে।

রবির সিটিও পেরিহান মেতাওয়েহ বলেন, “এই অংশীদারত্ব কেবল প্রযুক্তি নয়, পরিবেশ ও সুশাসনের প্রতিও আমাদের দায়বদ্ধতার প্রতিফলন।”

ফ্লোসোলারের এমডি মোস্তফা আজিম বলেন, “এই প্রকল্পটি সরকারের নীতিমালার বাস্তব উদাহরণ হয়ে উঠবে যা নবায়নযোগ্য শক্তিকে এগিয়ে নেবে।”

গ্রিনপাওয়ার এশিয়ার প্রেসিডেন্ট পিয়েরিক মোরিয়ে বলেন, “এই অংশীদারিত্ব নবায়নযোগ্য শক্তিকে জাতীয় অগ্রাধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সহায়ক হবে।”

আরও পড়ুন