ডিসেম্বর ১০, ২০২৪

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪

শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সর্বোত্র নারীর ক্ষমতায়ন করেছেন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

Sheikh Hasina has empowered women everywhere in Bangladesh Says Health Minister
শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সর্বোত্র নারীর ক্ষমতায়ন করেছেন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, এমপি বলেছেন, শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করে গেছেন। শেখ হাসিনার সময়োপযোগী প্রচেষ্টাতেই বাংলাদেশের সর্বোত্র এখন নারীর ক্ষমতায়ন ঘটেছে।

আজ সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ভর্তিকৃত নবাগত মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টশন ক্লাস ও শপথ পাঠ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

মহান জাতীয় সংসদ থেকে শুরু করে, পুলিশ বলেন, কোর্ট কাচারী বলেন কিংবা ব্যবসা-বাণিজ্য বলেন সবখানেই নারীরা এখন এগিয়ে এসেছে। এ বছর ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তিকৃত ২৩০ জনের মধ্যে ১২০ জনই নারী। বাকী ১১০ জন ছেলে। কিছুদিন আগে ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ৬ হাজার জনই নারী, পুরুষ ৪ হাজার।

বিসিএস পরীক্ষায় নারীরা এগিয়ে থাকছে। নারীরা ব্যবসা করে পরিবার চালাচ্ছে, স্বাবলম্বী হচ্ছে। এগুলো এমনি এমনি হয়নি; প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বড় বড় স্বপ্নের মধ্যে নারীর ক্ষমতায়নও অন্যতম একটি।

প্রধানমন্ত্রীর নিরলস প্রচেষ্টাতেই বাংলাদেশে নারীরা এখন পুরুষের সাথে সমান ভূমিকা রেখে চলেছে, বাংলাদেশকে উন্নত অবস্থানে নিয়ে যাচ্ছে।

 মেডিকেল নিয়ে পড়ালেখা করে ইদানিং অনেকেই বিসিএস দিয়ে প্রশাসন বা পুলিশ ক্যাডারে চলে যাওয়া প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, সরকারি মেডিকেলে একজন শিক্ষার্থীকে এমবিবিএস সম্পন্ন করাতে সরকারের কোটি টাকার বেশি খরচ হয়। এগুলো জনগণের ট্যাক্সের টাকা। জনগণ শিক্ষার্থীদের মেডিকেল পড়ার খরচ বহন করে, ভবিষ্যতে তারা চিকিৎসক হয়ে জনগণের চিকিৎসা দেবে সেজন্য। কিন্তু তারা সেটা না করে বিসিএস দিয়ে পুলিশ বা প্রশাসন ক্যাডারে চলে গেলে জনগণের কোটি কোটি টাকার অপচয় হয়। যে পেশায় এত বছর পড়ালেখা করে চিকিৎসক হয়ে সেখান থেকে অন্য পেশায় চলে গেলে চিকিৎসক পেশায় পড়ালেখা করার প্রয়োজন তো ছিল না।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোঃ শফিকুল আলম চৌধুরী-এর সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তাফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোঃ টিটো মিঞা, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রি. জে. মোঃ নাজমুল হক, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান মিলনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।