ডিসেম্বর ১১, ২০২৪

বুধবার ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪

শীত এলেই ভাগ্য বদলায় ওদের

Rising Cumilla - pie seller
ছাতিপট্টিতে ভাপা-চিতই এর সাথে বিক্রি করছেন বড়া পিঠাও। ছবি: রাইজিং কুমিল্লা

শীতের আমেজ অল্প অল্প অনুভুত হচ্ছে। আর ক’দিন পরেই হয়তো পুরোপুরি জেকেঁ বসবে শীত। এদিকে মৌসুমি পিঠা বিক্রেতারা শীতের শুরুতেই কুমিল্লা নগরীর অলি-গলি ও বিভিন্ন মোড়সহ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার, গ্রামীণ রাস্তার মোড়ে কিংবা জনসমাগম স্থানে ভ্রাম্যমান মাটির চুলায় তৈরী করা ভাপা ও চিতই পিঠা বিক্রির জন্য পসরা সাজিয়ে বসেছেন।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সরজমিনে দেখা গেছে, নগরীর বাদুরতলা, কান্দিরপাড়, পুলিশলাইন, রেসকোর্স, রেল স্টেশন, রানীর বাজার, ছাতিপট্টি, টমসম ব্রিজ, চকবাজারে বসেছে বেশ কিছু পিঠার অস্থায়ী দোকান। বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে চিতই পিঠা তৈরী ও বিক্রি। আর এসব ভ্রাম্যমান দোকানে মাটির চুলায় কিংবা গ্যাস বা কেরোসিনের চুলায় পিঠা তৈরী ও বিক্রি করছেন পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও। সন্ধ্যা হলেই বেড়ে যায় ক্রেতার সমাগম, যা অনেক রাত পর্যন্ত চলতে থাকে। এসব পিঠার দোকানে নানা বয়সী মানুষ পিঠা খেতে আসেন। প্রতিটি পিঠা বিক্রি করা হচ্ছে ১০ থেকে ২০ টাকায়।

সাধারণত রসুন-মরিচবাটা, ধনিয়াপাতা বাটা, শুঁটকি, মরিচ ভর্তা ও চিড়িং মাছ, কালোজিরা, সর্ষেসহ নানা রকম ভর্তা দিয়ে মিলিয়ে বিক্রি করা হয় চিতই পিঠা। নারকেল ও খেজুর গুড় দিয়ে বিক্রি করা হয় সুস্বাদু ভাপা পিঠা। কেউ কেউ বড়া পিঠাও বিক্রি করেন। সারা বছরের চেয়ে শীত কালে এ ভাপা ও চিতই কিংবা বড়া পিঠার কদর বেশী থাকে এমনটাই জানালেন পিঠা বিক্রেতা সোহাগ।

ছাতিপট্টি থেকে বাসার জন্য পিঠা নিতে এসেছেন রাণীর দীঘির পাড় এলাকার বাসিন্দা সালমা। তিনি বলেন, ‘শীতের সময় মুখরোচক ভর্তা দিয়ে চিতই খাওয়া অন্য রকম মজার। এছাড়া অন্য সব ভাজা পোড়া খাওয়ার চেয়ে এই পিঠা খাওয়া নিরাপদ। প্রায় প্রতিদিনই সন্ধ্যায় এখান থেকে পিঠা নিয়ে যাই।’

RisingCumilla - pie seller.webp
ছবি: রাইজিং কুমিল্লা

রেল স্টেশন এলাকার শাহরিয়া শুভ বলেন, ‘১০ টাকায় শুঁটকি, কালোজিরা, সর্ষে ভর্তা দিয়ে চিতই পিঠা আর নারকেল ও খেজুর গুড় দিয়ে সুস্বাদু ভাপা পিঠা পাওয়া যায়। ভালো লাগে, তাই নিয়মিত খাই।’

এদিকে শীত এলেই যেন ভাগ্য খুলে যায় এসব মৌসুমি পিঠা বিক্রেতাদের। একাধিক পিঠা বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ‘প্রতিদিন পিঠা বিক্রি থেকে আয় হয় ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা। পিঠা বিক্রেতাদের প্রত্যেকেই নিম্ন আয়ের মানুষ। আর্থিকভাবে খুবই অসচ্ছল। শীত এলেই তারা স্বল্পপুঁজি নিয়ে বাড়তি আয়ের আশায় পিঠা বিক্রি করেন। শীত মৌসুমের তিন থেকে চার মাস এই পিঠা বিক্রি করেন তারা।’

ছাতিপট্টির পিঠা বিক্রেতা সোহাগ বলেন, ‘শীত আসলেই পিঠা বিক্রি করি। এবারও বিক্রি ভালো হচ্ছে।’