জুলাই ২৭, ২০২৪

শনিবার ২৭ জুলাই, ২০২৪

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৮ এপ্রিল খুলছে, শনিবারও হবে ক্লাস!

School Students
প্রতীকি ছবি/সংগৃহীত

আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য সব রকমের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আর ক্ষতি পোষাতে ৪ মে থেকে শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখা হবে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) গণমাধ্যমকে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র।

এর আগে সকালে সারা দেশে আবার তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা বা ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এটি আগামী তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এ অবস্থায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার প্রস্তুতির কথা জানাল।

এদিকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ৪ মে থেকে শনিবারেও শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখার পরিকল্পনা আছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। এমন প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ২০ এপ্রিলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়। এই ছুটি ফলে ২৮ এপ্রিল খুলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, বর্তমান তাপমাত্রা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নয়। তাছাড়া বাংলাদেশে সব অঞ্চলের বর্তমান তাপমাত্রাও সমান নয়। এ কারণে আগামী রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য সব রকমের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হলে গরমের মধ্যে শিক্ষার্থীদের যাতে কোনো ক্ষতি না হয়, সেজন্য কিছু নির্দেশনা দেওয়া হবে। এর মধ্যে, শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষের বাইরের কার্যক্রম থেকে বিরত রাখতে হবে। এ ছাড়া পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র আরও জানায়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত চলমান ছুটি শেষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর প্রথম শনিবার আগামী ৪ মে থেকে শ্রেণি কার্যক্রম চালু থাকবে।

এদিকে তাপদাহের কারণে বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আর বাড়বে কি না, তা আগামী শুক্র-শনিবারের মধ্যে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহার।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাপমাত্রার কথা তো বলা যায় না। তাপমাত্রা আপ-ডাউন হয়। আমাদের দুদিন (শুক্র ও শনিবার) বন্ধ আছে, আমরা একটু দেখি, দেখে তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নেব।

শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর কথাতেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতির ইঙ্গিত পাওয়া গেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।