ভোলার শ্রীপুর একটি চরের তরমুজের ক্ষেতে ধরা পড়ে সাড়ে ১৪ মণ ওজনের শাপলা পাতা মাছ। মাছটি প্রায় তিন লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়।
মঙ্গলবার নগরীরর পোর্ট রোডের মাছের আড়তের মো. হাসান জানান, দুপুরে শ্রীপুর চরে তরমুজ কাটতে যান কৃষকরা। বৃষ্টি এবং নদীর পানিতে বেশিরভাগ তরমুজ নষ্ট হয়েছে। ওই নষ্ট তরমুজ তারা কেটে ফেলছিলেন।
একপর্যায়ে ক্ষেতের মধ্যে দেখতে পান বিশালাকায় কিছু একটা নড়ছে। এ সময় তাদের মধ্যে ভয় কাজ করলেও পরে সেখানে যান। গিয়ে দেখতে পান শাপলা পাতা মাছ। এরপর তরমুজ চাষি জসিম বেপারীসহ সাতজন মিলে মাছটিকে একটি স্পিডবোটে তুলে বিকালে বরিশাল নগরীর পোর্ট রোডে নিয়ে আসেন। মাছটি ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় কেনেন ১০ জন। মাছটি ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় কেনেন ১০ জন।
এদিকে, মাছটি বিক্রির জন্য রাতে নগরীতে মাইকিং করার সময় তাতে বাধা দেন এনিমেল ওয়েলফেয়ার অব বরিশালের সদস্যরা। ‘বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনে শাপলা পাতা মাছ শিকার, ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ। তবুও নগরীতে শাপলা পাতা মাছ বিক্রির মাইকিংয়ের খবর পেয়ে ভাটিখানা এলাকায় মাছটি আটক করি। এ সময় পোর্ট রোড মাছ বাজারের ব্যবসায়ীরা আসেন। মাছটি ধরা এবং বিক্রি অবৈধ জানালেও তারা মানতে চাননি। এ নিয়ে মাছ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক হয়। একপর্যায়ে পুলিশ এসে আমাদের ও মাছ ব্যবসায়ীদের সরিয়ে দিয়েছে।’
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘‘রাতে একটি শাপলা পাতা মাছ বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা। ‘অ্যানিমেল লাভার’ নামের একটি গ্রুপ খবর পেয়ে মাছটি আটকে রেখে মাছ শিকার অবৈধ বলে দাবি করে। তারপর পোর্ট রোড থেকে মাছ ব্যবসায়ীরা গেলে দুই পক্ষের মধ্যে হই-হুল্লোড় হয়। পরে দুই পক্ষকে বুঝিয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।’’
বুধবার সকাল থেকে মাছটি কেটে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। প্রায় তিন লাখ টাকায় এটি বিক্রি হয়েছে।