জানুয়ারি ২০, ২০২৫

সোমবার ২০ জানুয়ারি, ২০২৫

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাসনামলে পররাষ্ট্রনীতি ও বহির্বিশ্বের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক

ছবি: সংগৃহীত

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের তৃতীয় রাষ্ট্রপতি এবং তার শাসনামলে (১৯৭৭-১৯৮১) বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে একটি নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছিল। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি স্বনির্ভরতা, সার্বভৌমত্ব ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল।

পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে তিনি বহির্বিশ্বের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন এবং বাংলাদেশের অবস্থান শক্তিশালী করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এই আলোচনায় জিয়াউর রহমানের শাসনামলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি এবং বহির্বিশ্বের সাথে সম্পর্কের বিশ্লেষণ করা হবে।

পররাষ্ট্রনীতির মূল দিক

স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের সুরক্ষা: শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পররাষ্ট্রনীতির প্রথম এবং প্রধান দিক ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের সুরক্ষা। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক সংকট ও আন্তর্জাতিকভাবে এক বিচ্ছিন্ন অবস্থান তৈরি হয়েছিল। জিয়া তাঁর শাসনামলে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী, স্বাধীন এবং সম্মানিত জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতি: জিয়া পররাষ্ট্রনীতিতে নিরপেক্ষতার পথে হাঁটতে পছন্দ করতেন। তিনি বিদেশী শক্তির প্রভাবে দেশ পরিচালনা না করে, বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন। তার এই নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতি ‘ব্লক-নিরপেক্ষতা’ বা ‘Non-alignment’ তত্ত্বের অনুসরণ ছিল, যা ছিল পূর্ববর্তী শাসকদের তুলনায় কিছুটা ভিন্ন।

বিশ্ব শক্তির সাথে সম্পর্কের ভারসাম্য: জিয়া জাতিসংঘ সহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে কার্যকরভাবে উপস্থাপন করেন এবং বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করেন। তিনি পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করেন, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য উন্নত দেশের সাথে। পাশাপাশি, সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং চীনসহ পূর্ব ব্লকের দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করেছিলেন।

দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান

ভারতের সাথে সম্পর্ক: জিয়াউর রহমানের শাসনামলে বাংলাদেশের ভারতের সাথে সম্পর্ক অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ও সংকটের মুখোমুখি হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতের ভূমিকা অপরিসীম হলেও, পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের সুরক্ষা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং আন্তর্জাতিক কূটনীতি নিয়ে উভয় দেশ কিছুটা দ্বন্দ্বে পড়েছিল।

তবে, জিয়া ভারতকে প্রধান প্রতিবেশী হিসেবে বিবেচনা করে, তার শাসনামলে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতির জন্য নিরলসভাবে কাজ করেন। তিনি ভারতের সাথে সম্পর্ককে সামরিক নিরাপত্তা, বাণিজ্যিক সহযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের মাধ্যমে শক্তিশালী করতে চেয়েছিলেন। তবে, কূটনৈতিক ক্ষেত্রে তিনি ভারতকে অনেক সময় সতর্ক করেন, যাতে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন না হয়।

পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক: জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর পাকিস্তানের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পর প্রথম দিকে, পাকিস্তান বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিতে অনীহা ছিল, তবে জিয়া পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করার চেষ্টা করেন। তিনি পাকিস্তানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন ও আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের অবস্থান মজবুত করার লক্ষ্য কাজ করেছিলেন।

এই সময়ে পাকিস্তানকে একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদার হিসেবে দেখা হয়, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে। এছাড়াও, পাকিস্তানের সাথে সামরিক সহযোগিতা ও বাণিজ্যিক সম্পর্কও নতুন মাত্রা পেয়েছিল।

আন্তর্জাতিক সম্পর্কের দিকে জিয়ার পদক্ষেপ

মধ্যপ্রাচ্য এবং মুসলিম বিশ্বে সাথে সম্পর্ক: শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাসনামলে বাংলাদেশের আরব দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধি পায়। তিনি আরব দেশগুলোর সাথে অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় সম্পর্কের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেন। বাংলাদেশ তখনও আরব বিশ্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হতো, এবং জিয়াউর রহমানের কূটনীতির ফলে দেশটি মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সাথে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তুলতে সক্ষম হয়।

বিশেষ করে, সৌদি আরব, কুয়েত, এবং অন্যান্য গালফ দেশগুলোর সাথে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পায়। এসব দেশের সাথে শ্রমবাজার সম্প্রসারণ, ঋণ সুবিধা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিষয়ে সমন্বয় ঘটে। এই সম্পর্কগুলো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখে।

পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক: পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক ছিল মিশ্র। শাসনক্ষমতা গ্রহণের পর জিয়া পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে বাংলাদেশের অবস্থান এবং প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছিলেন। তিনি পশ্চিমা বিশ্বকে বাংলাদেশের নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদ, এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য আহ্বান জানান।

তবে, জিয়াউর রহমানের শাসনামলে বাংলাদেশের পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক কিছুটা জটিল ছিল, কারণ তিনি কখনও কখনও তাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি অত্যধিক হস্তক্ষেপকে বিরোধী ভাবতেন। তবে, তিনি পশ্চিমা বিশ্বকে মিত্র হিসেবে পরিণত করার জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছিলেন।

সোভিয়েত ইউনিয়ন ও কমিউনিস্ট ব্লকের সাথে সম্পর্ক: জিয়াউর রহমানের শাসনামলে বাংলাদেশের সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং কমিউনিস্ট ব্লকের সাথে সম্পর্কের প্রতি অত্যন্ত বাস্তববাদী দৃষ্টিভঙ্গি ছিল। জিয়া জানতেন যে, সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং তার অধীন রাষ্ট্রগুলো বাংলাদেশের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, বিশেষ করে তাদের থেকে অর্থনৈতিক সাহায্য এবং সামরিক সহায়তা পাওয়া সম্ভব।

তবে, জিয়াউর রহমান কখনও কখনও সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রতি কিছুটা সংশয়ী মনোভাব পোষণ করেছিলেন, যাতে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি কোন হুমকি না আসে। তিনি এই ধরনের সম্পর্ককে সুষম এবং সুরক্ষিত রাখতে চেয়েছিলেন, যা পরবর্তী সময়ে তার কূটনৈতিক দক্ষতার প্রতিফলন ছিল।

বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা: শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পররাষ্ট্রনীতি দেশের জাতীয় স্বার্থের প্রতিরক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। তিনি বিশ্বাস করতেন যে, একটি দেশ যতই ছোট হোক না কেন, তার স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান জানানো অত্যন্ত জরুরি। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি ছিল শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের এবং বিশ্ব শান্তির প্রতি অঙ্গীকারাবদ্ধ।

এছাড়া, জিয়া আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশের ভূমিকা শক্তিশালী করার জন্য একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি ছিল ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক সম্পর্কের দিকে, যা দেশের অর্থনীতি ও নিরাপত্তার প্রতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। উল্লেখ্য, তিনি আঞ্চলিক সহযোগিতা জোট সার্ক (SAARC) এর স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন।

বিশ্ব ব্যাংক ও আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (IMF) সাথে সম্পর্ক: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ঋণের পরিপ্রেক্ষিতে, জিয়া আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংস্থা যেমন বিশ্ব ব্যাংক, IMF, ADB সহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে সম্পর্ক স্থাপন এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতার চেষ্টা করেন। তিনি বাংলাদেশের ঋণের পরিমাণ হ্রাস, উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য সহায়তা এবং বিদেশি বিনিয়োগের জন্য একটি উপর্যুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে আগ্রহী ছিলেন।

সার্কের (SAARC) স্বপ্নদ্রষ্টা জিয়া

সার্ক (SAARC) বা দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা প্রতিষ্ঠার মূল উদ্যোক্তা ছিলেন বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। ১৯৮০ সালে সার্ক প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবনা তিনি দিয়েছিলেন এবং এর মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতা, শান্তি ও উন্নয়নকে প্রচার করার লক্ষ্যে তিনি কাজ করেছিলেন।

সার্ক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো, যেমন বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ এবং আফগানিস্তান, একে অপরের সাথে অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সম্পর্ক উন্নত করতে এবং বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক সমস্যা সমাধানে একযোগে কাজ করার সুযোগ পায়। এই ধরনের আঞ্চলিক সহযোগিতা প্রতিষ্ঠার জন্য জিয়া  গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এজন্য তাকে “সার্কের স্বপ্নদ্রষ্টা” হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।

বাংলাদেশের সামরিক শক্তি এবং পররাষ্ট্রনীতি

সামরিক বাহিনীর আধুনিকীকরণ: জিয়া তাঁর শাসনামলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আধুনিকীকরণে গুরুত্ব দেন। তার মতে, দেশের নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য শক্তিশালী সামরিক বাহিনী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের মতো পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য বাংলাদেশকে সামরিক দিক থেকে একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন। তার সময় থেকেই বাংলাদেশের সেনাবাহিনী শান্তিরক্ষী বাহিনী হিসেবে আন্তর্জাতিক মিশনগুলোতে অংশগ্রহণ করতে শুরু করে।

শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ: বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে অংশগ্রহণের সূচনা জিয়ার শাসনামলেই। জাতিসংঘের বিভিন্ন শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ থেকে সেনা পাঠানো শুরু হয়, যা দেশের আন্তর্জাতিক মর্যাদা বৃদ্ধি করে ও সামরিক শক্তির প্রমাণ দেয়।

জিয়াউর রহমানের পররাষ্ট্রনীতি: সমালোচনা ও বিশ্লেষণ

যদিও জিয়াউর রহমানের পররাষ্ট্রনীতি অনেক সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছিল, তবুও তাঁর শাসনামলকে বাংলাদেশের কূটনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তার সিদ্ধান্তগুলো অনেক সময় দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রয়াস হিসেবে দেখা হলেও, তার পররাষ্ট্রনীতির কিছু দিক যেমন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সম্পর্কের সঠিক ভারসাম্য এবং আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর সাথে সম্পর্কের অস্থিরতা, বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল।

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পররাষ্ট্রনীতি বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন দিগন্তের সূচনা করেছিল। তার শাসনামলে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং পররাষ্ট্রনীতি নতুন রূপ লাভ করেছিল। যদিও তার কিছু পদক্ষেপ বিতর্কিত ছিল, তবে তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও শক্তিশালী ও সম্মানিত অবস্থানে পৌঁছেছিল। জিয়ার পররাষ্ট্রনীতি আজও বাংলাদেশের কূটনৈতিক ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হয়।

ইরফান ইবনে আমিন পাটোয়ারী

লেখক: শিক্ষার্থী, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।