ডিসেম্বর ৯, ২০২৪

সোমবার ৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

‘শহীদি মার্চে’ অংশ নিতে পারেননি হামলায় আহত শতাধিক ববি শিক্ষার্থী 

ছবি: প্রতিনিধি

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) আহত শতাধিক শিক্ষার্থী শহীদি মার্চে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। 

গত মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে বরিশাল ব্রজমোহন কলেজের (বিএম) কতিপয় শিক্ষার্থীদের নৃশংস হামলায় আহত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী। আহত শিক্ষার্থীদের মধ্য কমপক্ষে ১০জন শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললে তারা কষ্ট নিয়ে বলেন ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আহত থাকায় শহীদি মার্চে অংশগ্রহণ করতে পারেননি।

আহত শিক্ষার্থীরা বলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ই প্রথম স্বৈরাচার মুক্ত করি আমরা। বিশ্ববিদ্যালয় স্বৈরাচার মুক্ত করে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমরা বরিশাল শহরে বিএম কলেজসহ অন্যআন্য প্রতিষ্ঠানের সাথে এক হয়ে শহরে তাদের সাথে আন্দোলন করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু দুঃখজনক ঘটনা হলো এটাই যে আন্দোলনের একমাস পার না হতেই বিএম কলেজেরই কিছু শিক্ষার্থী আমাদের ওপরে নৃশংস হামলা চালালো। মঙ্গলবার রাতে আমাদের বাসভর্তি নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের ওপরে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালায় তারা। এতে আমাদের বাসাথাকা প্রায় ৫০জন শিক্ষার্থী আহত হয় পরে আরও হামলা করে আমাদের মোট শতাধিক শিক্ষার্থী তারা আহত করেন। আহত থাকায় আজকে আমরা শহীদি মার্চের মিছিলে অংশ নিতে পারলাম না এটাই আমাদের বড় কষ্টের বিষয়।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে ‘শহীদি মার্চ’ মিছিল পালিত হয় বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর)। বেলা সাড়ে পাঁচটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে ভোলা-বরিশাল মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইনগেট দিয়ে প্রবেশ করে টিএসসিতে গিয়ে শেষ হয়৷

হামলায় আহত বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান হাসপাতালের বেডে শুয়ে যন্ত্রতায় কাতর অবস্থায় বলছিলেন, স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে স্বোচ্চার ছিলো বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থী। আমি আন্দোলনে প্রতিটা দিন অংশগ্রহণ করলেও আজকের শহীদি মিছিলে অংশ নিতে পারিনি। গত মঙ্গলবার রাতে বিএম কলেজের শিক্ষার্থীদের নৃশংস হামলায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালের বেডে চিকিৎস্যাধীন থাকায়।

হামলায় আহত আরেক শিক্ষার্থী বলেন বিনা অপরাধে আমাদের ওপরে নৃশংসভাবে হামলা চালায় বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা। আমাদের বাসে তারা যখন হামলা চালায় তখন ভাবছিলাম আজকে হয়তো আমাদের মৃত্যু হয়ে যাবে। হাসপাতাল থেকে ছাড় পেলেও এখনো পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ায় আজকের শহীদি মার্চে অংশ নিতে পারেননি বলে জানান তিনি।