ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন। নির্বাচনের আগে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছেন তিনি। পুরো সময়জুড়েই তার পাশে ছিলেন স্বামী রাকিব সরকার। কিন্তু নির্বাচনে ভরাডুবির পর একপ্রকার লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যান মাহি। সেসময় থেকেই নাকি স্বামীর সঙ্গেও দূরত্ব বাড়তে থাকে এই অভিনেত্রীর। একপর্যায়ে সেই দূরত্ব গিয়ে গড়ায় সংসার ভাঙনে। স্বামী রাকিব সরকারের সাথে আলাদা থাকছেন বলে নিজেই জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে ফেসবুকে এক ভিডিওবার্তায় মাহি নিজেই এই খবর নিশ্চিত করেন। ভিডিওতে তিনি বলেন, “আমি আর রাকিব খুব ভালো বোঝাপড়া থেকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু জীবনের একটা পর্যায়ে এসে মনে হয়েছে আমাদের একসঙ্গে থাকা সম্ভব নয়। তাই আমরা আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইতোমধ্যে আমরা আলাদা থাকছি।”
বিচ্ছেদের কারণ স্পষ্ট করেননি মাহি। তবে তিনি জানিয়েছেন, স্বামীর প্রতি এখনও সম্মান রয়েছে তার। মাহি বলেন, “রাকিব খুব ভালো একজন মানুষ। তাকে আমি সম্মান করি। সে অনেক কেয়ারিং। সবসময় আমাকে একটা ছাতার মতো আগলে রেখেছে। তবুও একটা ছাদের নিচে দু’জন মানুষ কেন ভালো নেই, সেটা কেবল ওই দুইজন মানুষই জানে। তৃতীয় কোনো ব্যক্তিও সেই সমস্যার কারণ বুঝতে পারবে না।”
মাহি আরও বলেন, “খুব দ্রুতই আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদে যাচ্ছি। কবে আর কীভাবে হবে সেটাও দুজন মিলেই ঠিক করব।”
এই নায়িকা বলেন, আমি জানি এই ভিডিওটা দেখার পরে আপনারা সবাই আমাকে নিয়ে অনেক আজেবাজে কথা বলবেন। বিশ্বাস করেন, এসব মন্তব্য একটা তীরের মতো আমার বুকে বিঁধবে। কষ্ট হয়, তবে এসবে আমি কিছু বলি না। আমার পরিবারের মানুষও কষ্ট পায়।
এ সময় ছেলের জন্য দোয়া চেয়ে মাহি বলেন, আপনারা আমার ছেলে ফারিশের জন্য দোয়া করবেন। যেন ওকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারি। ওকে নিয়েও অনেকে বাজে মন্তব্য করেন। সে তো বাচ্চা, বুঝে না। কিন্তু আমি কষ্ট পাই। কোনো বাচ্চাকে নিয়েই আপনারা এমন মন্তব্য করবেন না। বুকটা ফেটে যায় একজন মা হিসেবে কষ্টে। আপনারা আমার ও ফারিশের জন্য দোয়া করবেন।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাকিবকে বিয়ে করেন মাহি। এরপর ২০২৩ সালের ২৮ মার্চ পুত্র সন্তানের জন্ম দেন অভিনেত্রী। যার নাম রাখা হয় মো. মোসাইব আরাশ সামসুদ্দিন ফারিশ সরকার।
এর আগে ২০১৬ সালে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন মাহি। সেই সংসার টিকেছিল ৫ বছর। এরপর অপুর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর রাকিব সরকারকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী। সেই সংসার ভাঙনের খবর মিলল বিয়ের আড়াই বছরের মাথায়।