
আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
শনিবার (১৭ মে) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের শম্ভুপুরা ইউনিয়নের দুর্গাপ্রসাদ এলাকায় একটি পার্লারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই ঘোষণা দেন এবং স্পষ্ট করে জানান যে ভবিষ্যতে আর কখনো রাজনীতিতে ফিরবেন না।
হিরো আলম বলেন, “আমি চারবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। দুইবার জনগণের বিপুল সমর্থন পেয়েছিলাম। কিন্তু বর্তমানে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নির্বাচন করার মতো অবস্থা নেই। তাই আমি রাজনীতি থেকে চলে যাচ্ছি এবং রাজনীতিতে আর কামব্যাক করব না।”
নিজের জীবনের স্বপ্ন ও পরিশ্রমের কথা উল্লেখ করে হিরো আলম বলেন, “প্রতিটি মানুষের জীবনে স্বপ্ন থাকে। অনেকেই আমাকে ছোট করে দেখেছে, কিন্তু ছোট হওয়ার কিছু নেই। পরিশ্রম করলে যেকোনো স্বপ্ন সফল হয়।”
রাজনীতির অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি কিছুটা হতাশার সুরে বলেন, “আমি জনগণের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করলাম, ছাত্র আন্দোলন থেকে শুরু করে যেখানে অন্যায় হয়েছে সেখানেই ঝাঁপিয়ে পড়েছি। অথচ বিনিময়ে পেলাম মানুষের লাঞ্ছনা, মার এবং ধিক্কার। এছাড়া আমি হিরো আলম কী পেয়েছি? কার জন্য করবো? এদেশের আইনের কাছে যাবেন, আদালতের কাছে যাবেন, সেখানেও আমরা নিরাপত্তা পাই না। দেশ বর্তমানে এমন পর্যায়ে আছে, যেখানে ক্ষমতা সেখানেই দেশ। ভেবেছিলাম পরিবর্তন পাবো, কিন্তু এ দেশে কোনো পরিবর্তন নেই। একদল গেছে, আরেক দল আসছে। এক কথায় জনগণের আস্থা হারিয়ে গেছে। তাই আমি বুঝেছি দেশের এই পরিস্থিতিতে দেশের জনগণের জন্য কিছু করতে পারবো না।”
ভবিষ্যতের পরিকল্পনা সম্পর্কে হিরো আলম স্পষ্ট করে বলেন, “আমি মিডিয়ার মানুষ, মিডিয়াতেই থাকতে চাই। রাজনীতিতে আর কামব্যাক করবো না। খুব শিগগিরই ১০ জন মডেল নিয়ে আসবো মিডিয়াতে। এরইমধ্যে ৫ জনকে নিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছি। এই মুহূর্তে কাজের মধ্যে থাকতে চাই।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পার্লারের মালিক স্বপন মিয়া, শম্ভুপুরা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য খোরশেদ ফরাজী সহ এলাকার বহু গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।